মার্ভেলের বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘Captain America: Brave New World’ মুক্তির আগেই দর্শকদের জানা হয়ে গিয়েছিল সিনেমার সবচেয়ে বড় চমকটি। হ্যারিসন ফোর্ড অভিনীত রেড হাল্কের আবির্ভাব ছিল সিনেমার মূল লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দু।
সিনেমাটিতে প্রথমবারের মতো ক্যাপ্টেন আমেরিকা চরিত্রে বড় পর্দায় দেখা যায় অ্যান্টনি ম্যাকিকে। তিনি লড়েন প্রেসিডেন্ট থ্যাডিয়াস ‘থান্ডারবোল্ট’ রসের বিরুদ্ধে, যিনি গামা রশ্মির প্রভাবে পরিণত হন রেড হাল্কে। উইলিয়াম হার্টের মৃত্যুর পর এই চরিত্রে দেখা যায় হ্যারিসন ফোর্ডকে।
তবে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, এই বড় চমক কি সিনেমার ট্রেলারে না দেখালেই হতো?
এ প্রসঙ্গে পরিচালক জুলিয়াস ওনাহ এম্পায়ার ম্যাগাজিনকে বলেন, “আসলে এটি গোপন রাখা যেত না। যখন ঘোষণা আসে যে হ্যারিসন ফোর্ড থ্যাডিয়াস রস চরিত্রে অভিনয় করবেন, তখন থেকেই আন্দাজ করা যাচ্ছিল কী ঘটতে যাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই যুগে কোনো গোপনীয়তা রাখা কঠিন। হয় কোনো টয় ফিগার ফাঁস হয়ে যায়, নয়তো ট্রেলার লিক হয়ে যায়। তাই এরকম বড় মুহূর্ত গোপন রাখা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।”
তবে সিনেমাটির গল্প শুধুই সুপারহিরো লড়াই ঘিরে নয়। এটি মানুষের সম্পর্ক, বিশ্বাস এবং একত্রে এগিয়ে যাওয়ার প্রতীক হিসেবেও কাজ করে বলে মনে করেন পরিচালক।
জুলিয়াস ওনাহ জানান, “স্যাম উইলসন যখন স্টারস অ্যান্ড স্ট্রাইপস পরে ক্যাপ্টেন আমেরিকা হিসেবে আবির্ভূত হন, তখন তা শুধুমাত্র একজন বীর নন, বরং একটি জাতির একতা ও সম্ভাবনার প্রতীক হয়ে ওঠে।”
তিনি বলেন, “এটা হয়তো কিছুটা আদর্শবাদী শোনাতে পারে, কিন্তু যদি আমরা একটি যৌথ ভবিষ্যৎ কিংবা জাতীয় চেতনার ওপর বিশ্বাস না রাখি, তাহলে আমরা আদৌ কী করছি?”
এই মন্তব্যই যেন প্রতিধ্বনিত করে নতুন প্রজন্মের ক্যাপ্টেন আমেরিকার আদর্শকে। মার্ভেলের নতুন এই সিনেমাটি শুধুমাত্র অ্যাকশন নয়, বরং দর্শকদের সামনে একটি মানবিক বার্তা পৌঁছে দেওয়ারও চেষ্টা করছে।
