Saturday, October 25, 2025
Homeআন্তর্জাতিকট্রাম্পের ক্ষোভের পর যুক্তরাষ্ট্রে অ্যান্টি-ট্যারিফ বিজ্ঞাপন স্থগিত করল কানাডার অন্টারিও

ট্রাম্পের ক্ষোভের পর যুক্তরাষ্ট্রে অ্যান্টি-ট্যারিফ বিজ্ঞাপন স্থগিত করল কানাডার অন্টারিও

বিজ্ঞাপন বন্ধের সিদ্ধান্তের পর পুনরায় বাণিজ্য আলোচনায় ফিরতে চায় কানাডা

কানাডার অন্টারিও প্রদেশের প্রধানমন্ত্রী ডগ ফোর্ড জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রচারিত অ্যান্টি-ট্যারিফ বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করা হবে সোমবার থেকে।

বিজ্ঞাপনটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল, যার ফলে তিনি কানাডার সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনা বন্ধ ঘোষণা করেন।

ফোর্ড বলেন, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনির সঙ্গে কথা বলার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা আলোচনায় ফিরে যেতে চাই। এজন্য বিজ্ঞাপনটি সাময়িকভাবে স্থগিত করছি।”

তিনি জানান, সপ্তাহান্তে বিজ্ঞাপনটি এখনও সম্প্রচারিত হবে, বিশেষ করে মেজর লিগ বেসবল ওয়ার্ল্ড সিরিজের সময় যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন নেটওয়ার্কে।

কারনি বলেন, “আমরা প্রস্তুত আছি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আবারও আলোচনায় বসার জন্য, যখন তারা প্রস্তুত।”

বৃহস্পতিবার রাতে ট্রাম্প ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ পোস্ট করে বিজ্ঞাপনটিকে “FAKE” ও “অত্যন্ত বিভ্রান্তিকর” বলে মন্তব্য করেন এবং লেখেন, “বাণিজ্য আলোচনা এখানেই শেষ।”

অন্টারিও সরকারের অর্থায়নে নির্মিত বিজ্ঞাপনটিতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের ১৯৮৭ সালের এক বক্তব্য থেকে উদ্ধৃতি ব্যবহার করা হয়, যেখানে তিনি বলেন, ট্যারিফ “প্রত্যেক আমেরিকানের ক্ষতি করে।”

রোনাল্ড রিগান ফাউন্ডেশন বিজ্ঞাপনটির সমালোচনা করে জানায়, রিগানের বক্তব্য “বাছাই করে ব্যবহার” করা হয়েছে এবং তাদের অনুমতি ছাড়া এই অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছে।

ডগ ফোর্ড বলেন, বিজ্ঞাপনটির উদ্দেশ্য ছিল “আমেরিকানদের মধ্যে আলোচনার সূচনা করা” যে তারা কেমন অর্থনীতি চায় এবং ট্যারিফের প্রভাব কী।
তিনি বলেন, “আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করেছি, কারণ বার্তাটি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছেছে।”

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র কানাডার সব পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ কর আরোপ করেছে, যদিও বিদ্যমান মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আওতায় বেশ কিছু পণ্য ছাড় পাচ্ছে।
কিছু খাতভিত্তিক ট্যারিফ, যেমন ধাতুতে ৫০ শতাংশ এবং গাড়িতে ২৫ শতাংশ কর, অন্টারিওর অটোমোবাইল শিল্পে বড় প্রভাব ফেলেছে।

প্রধানমন্ত্রী কারনি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ট্যারিফ কমানোর লক্ষ্যে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। কানাডার মোট রপ্তানির প্রায় তিন-চতুর্থাংশ যুক্তরাষ্ট্রে যায়, যা দেশের অর্থনীতিকে বিশেষভাবে সংবেদনশীল করে তুলেছে।

RELATED NEWS

Latest News