চলমান ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে জাসপ্রিত বুমরাহ খেলবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। বৃহস্পতিবার ভারতের সহকারী কোচ রায়ান টেন ডেসকাটে জানান, বুমরাহকে নিয়ে সিদ্ধান্ত ম্যানচেস্টারে গিয়েই নেওয়া হবে।
ডেসকাটে বলেন, “আমরা জানি সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচে বুমরাহকে পাওয়া যাবে। ম্যানচেস্টার ম্যাচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই তাকেই খেলানোর দিকেই আমরা ঝুঁকছি। তবে আবহাওয়া, ম্যাচ কন্ডিশন ও পরবর্তী ম্যাচের সঙ্গে মিলিয়ে সবকিছু বিচার করেই সিদ্ধান্ত নেব।”
বিসিসিআইয়ের মেডিকেল টিমের সঙ্গে সমন্বয় করে বুমরাহ আগে থেকেই নির্ধারিত তিনটি টেস্টে খেলবেন বলে ঠিক ছিল। ইতোমধ্যে হেডিংলির প্রথম টেস্টে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তিনি এবং লর্ডসে সাত উইকেটের মধ্যে আরেকটি পাঁচ উইকেট পেয়েছেন।
তবে শুধু বুমরাহ নয়, দলের দ্বিতীয় স্ট্রাইক বোলার মোহাম্মদ সিরাজের ওভারসংখ্যাও একটি বড় চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছে। তিনি ইতিমধ্যে ১০৯ ওভার বল করেছেন, যা সিরিজে চতুর্থ সর্বোচ্চ।
এদিকে, উইকেটরক্ষক ব্যাটার রিশাভ পান্তের আঙুলের ইনজুরি নিয়েও দুশ্চিন্তা চলছে। যদিও পান্ত লর্ডস টেস্টে ব্যাট করেছেন, তবে কিপিং করতে পারেননি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তার আঙুলে কোনো টেপ দেখা যায়নি, তবে ধাক্কা লাগলে ব্যথা হয়। কোচ ডেসকাটে বলেন, “পান্ত খেলবে বলেই আশা করছি। কিপিং করতে পারবে কি না, সেটাই এখন প্রশ্ন।”
যদি পান্ত কিপিং না করতে পারেন, তবে ধ্রুব জুরেল কিপার হিসেবে খেলতে পারেন এবং পান্ত শুধুমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে নামবেন। এই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি ডেসকাটে।
আরও একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে অনুশীলনে। বাঁহাতি পেসার অর্শদীপ সিং তার ফলো থ্রুতে বল আটকাতে গিয়ে হাতে চোট পান। সঙ্গে সঙ্গে মাঠ ছাড়েন এবং তার হাতে টেপ বাধা হয়। তাকে সেলাই দিতে হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ফলে তার খেলা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে।
সব মিলিয়ে ম্যানচেস্টার টেস্টের আগে বোলিং কম্বিনেশন ও প্লেয়ার ফিটনেস নিয়ে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট বেশ কিছু কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি। দলের নিয়মিত পেসারদের বিশ্রাম ও চোট সমস্যা বিবেচনায় রেখে চূড়ান্ত একাদশ ঘোষণা করা হবে ম্যাচের আগেই।
ভারতীয় দল ১৯ জুলাই ম্যানচেস্টারের উদ্দেশে রওনা হবে এবং রবিবার থেকে আবারও পূর্ণ অনুশীলনে নামবে। সিরিজে এখন পর্যন্ত ১-১ ব্যবধানে সমতা বিরাজ করছে, ফলে এই ম্যাচের ফলাফল সিরিজের ভাগ্য গড়ে দিতে পারে।