পপ সংগীত জগতের আলোচিত তারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স ফের শিরোনামে। মেক্সিকো থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসগামী একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে মাঝআকাশে অস্বাভাবিক আচরণের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
প্রসিদ্ধ মার্কিন গণমাধ্যম টিএমজে প্রকাশিত এক বডি ক্যাম ফুটেজ অনুযায়ী, বিমান অবতরণের পর বিমানবন্দরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার একটি সংক্ষিপ্ত কথোপকথন হয়। কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, তিনি হয়তো ওষুধ না খেয়ে ফ্লাইটে উঠেছিলেন, তবে তাকে সহযোগিতাপরায়ণ এবং শান্ত দেখা গেছে।
ফুটেজে দেখা যায়, ‘টক্সিক’ খ্যাত গায়িকা রানওয়ের ধারে ধীর পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন এবং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে হাত নেড়ে বিদায় জানাচ্ছেন।
বিমানযাত্রায় থাকা কিছু সূত্র জানিয়েছে, ব্রিটনি মাঝআকাশে সিগারেট ধরাতে চেয়েছিলেন, যা সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও তিনি এই অনুরোধ মেনে নেন, তবুও পুরো ফ্লাইটে তাকে “কঠিন যাত্রী” হিসেবে বর্ণনা করেছেন অনেকেই।
বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর কর্মকর্তারা তাকে কঠোরভাবে সতর্ক করেন, ভবিষ্যতে যেন এমন আচরণ না করেন। তবে তার বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বিমানযাত্রার সময় তোলা কিছু ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে তাকে অগোছালো অবস্থায় দেখা যায়। তার বাহুতে অতিরিক্ত সানস্ক্রিন মাখা ছিল এবং তিনি একজন ক্রু সদস্যের সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে ব্রিটনি বলেন, তিনি শুনেছিলেন যে বিমানে ধূমপান করা যাবে, তাই সিগারেট ধরাতে চেয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, “বিমানে শুরু থেকেই ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা যেন আমাকে পছন্দ করছিল না।”
উল্লেখ্য, এটি প্রথম নয় যে ব্রিটনি স্পিয়ার্স আচরণ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়লেন। কনজারভেটরশিপ শেষ হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সময় তার ব্যক্তিগত জীবন ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তবে সব বিতর্ক সত্ত্বেও প্রায় ৬ কোটি মার্কিন ডলারের সম্পদ এবং অগণিত ভক্ত তাকে আজও শীর্ষ তারকাদের কাতারে রেখেছে। তিনি এখনো নিজেকে নতুন করে গড়ার চেষ্টায় রয়েছেন।