ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় মহারাষ্ট্র রাজ্যের একটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রে সেতু ধসে পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩২ জন। এদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।
রোববার (১৫ জুন) পুনে জেলার কুন্ডমালা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সেখানে একটি নদীর ওপর নির্মিত লোহার সেতুটি ভেঙে পড়লে অনেক পর্যটক পানিতে পড়ে যান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত উদ্ধারকর্মীরা অন্তত ছয়জনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন। এখনো নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চলছে।
ফড়নবিশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে জানান, “সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় ছয়জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, যাদের অবস্থা গুরুতর। তল্লাশি ও উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।”
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, ঘটনার সময় সেতুর ওপর বেশ কয়েকজন পর্যটক অবস্থান করছিলেন। আকস্মিকভাবে সেতুটি ভেঙে পড়লে অনেকে নদীতে পড়ে যান এবং কয়েকজন স্রোতের টানে ভেসে যান।
প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পুনে জেলার কুন্ডমালা এলাকায়, যেখানে গত কয়েকদিনে টানা বৃষ্টিপাতের ফলে নদীতে প্রবল স্রোত সৃষ্টি হয়েছে। যদিও দুর্ঘটনার সময় সেখানে বৃষ্টি হচ্ছিল না।
জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (NDRF) এবং অন্যান্য উদ্ধারকারী সংস্থা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত আছে এবং স্থানীয় প্রশাসনও তৎপর ভূমিকা পালন করছে।
ভারতে সড়ক ও সেতু অবকাঠামোতে নিরাপত্তা ঘাটতি বহুদিন ধরেই আলোচিত। এসব কারণে অতীতে বহু বড় দুর্ঘটনার ঘটেছে।
২০২২ সালে গুজরাট রাজ্যে শতবর্ষী একটি ঝুলন্ত সেতু ধসে পড়ে ১৩২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেটি ছিল দেশটির সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম বড় দুর্ঘটনা।
মহারাষ্ট্রের এই সাম্প্রতিক দুর্ঘটনাটি নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে পর্যটন এলাকায় নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা নিয়ে। এখন পর্যন্ত ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত জানানো হয়নি।
পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতে এমন সেতুগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ আরও জোরদার করার দাবি উঠেছে স্থানীয়দের মধ্যেও।