বক্স অফিসে শক্ত শুরুর মাধ্যমে আলোচনায় এসেছে ব্র্যাড পিট অভিনীত অ্যাপল অরিজিনাল ফিল্মসের নতুন সিনেমা ‘F1’। প্রিভিউ স্ক্রিনিং থেকেই এ ছবির আয় ১০ মিলিয়ন ডলার ছুঁয়েছে, যা সিনেমাটির সম্ভাব্য সাফল্যের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
‘F1: The Movie’ পরিচালনা করেছেন জোসেফ কোসিনস্কি, যিনি ‘টপ গান: ম্যাভেরিক’ খ্যাত। সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার আগেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার শো থেকে আয় করেছে ৭ মিলিয়ন ডলার এবং অতিরিক্ত প্রিভিউ শো থেকে আরও ৩ মিলিয়ন ডলার।
ওয়ার্নার ব্রাদার্স সিনেমাটির মার্কেটিং ও পরিবেশনার দায়িত্বে রয়েছে। উত্তর আমেরিকায় ৪০ থেকে ৫০ মিলিয়ন এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রায় ৭৫ মিলিয়ন ডলারের ওপেনিং প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে সিনেমাটির বিশ্বব্যাপী উদ্বোধনী আয় দাঁড়াতে পারে কমপক্ষে ১১৫ মিলিয়ন ডলারে।
বিশাল বাজেটের এই ছবিটির প্রোডাকশন খরচ ছিল ২০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি। তবে এটি আইম্যাক্স এবং ডলবি সিনেমাসহ প্রিমিয়াম স্ক্রিনে চলবে তিন সপ্তাহ ধরে, যা আয়ের দিক থেকে বড় সুবিধা দিতে পারে।
সিনেমার কাহিনিতে দেখা যাবে, ব্র্যাড পিট একজন প্রাক্তন ফর্মুলা ওয়ান রেসার হিসেবে ফিরে আসেন ট্র্যাকে, সঙ্গে রয়েছেন তরুণ ড্রাইভার ড্যামসন ইড্রিস। এছাড়াও রয়েছেন জাভিয়ার বারডেম, যিনি একটি এফওয়ান দলের মালিক হিসেবে অভিনয় করেছেন। সিনেমার সংগীত পরিচালনা করেছেন হান্স জিমার।
এই ছবির মাধ্যমে অ্যাপল তাদের থিয়েটার-ভিত্তিক ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউশনে নতুন সম্ভাবনা দেখছে, বিশেষ করে ‘কিলারস অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন’ এবং ‘নেপোলিয়ন’-এর বাণিজ্যিক ব্যর্থতার পর।
অন্যদিকে, একই দিন মুক্তিপ্রাপ্ত ব্লামহাউস প্রযোজিত ‘M3GAN 2.0’ এর প্রিভিউ আয় মাত্র ১.৫ মিলিয়ন ডলার, যা আগের সিনেমার ২.৭৫ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় কম। যদিও সিনেমাটির বাজেট কম (১৫ মিলিয়ন ডলার) হওয়ায় এটিকে লাভজনক বলা যাচ্ছে।
‘M3GAN 2.0’-এর গল্প আগের ঘটনার দুই বছর পর শুরু হয়েছে। নতুন এক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর প্রাণীর আবির্ভাবে ফের জেগে ওঠে এমথ্রিগ্যান এবং শুরু হয় নতুন সংঘাত।
হরর ঘরানায় বাজার এখন বেশ প্রতিযোগিতামূলক হলেও, বিশ্লেষকদের মতে, এই সিনেমাটিও লাভজনক হবে। এতে আগের চরিত্রদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন নতুন কিছু অভিনয়শিল্পীও।
সব মিলিয়ে, গ্রীষ্মের বক্স অফিসে ব্র্যাড পিটের ‘F1’ এক প্রভাবশালী প্রত্যাবর্তন হতে চলেছে।