ঢাকা, ২৭ মে, ২০২৫ (ডেপ্রবা) : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এই প্রথমবারের মতো রেভিনিউ শেয়ারিং ব্যবস্থা চালু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এতদিন বিপিএলের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য আয়ের নির্দিষ্ট কোনো মডেল ছিল না। এবার টিকিট বিক্রির মাধ্যমে আয় হওয়া অর্থের একটি অংশ ফ্র্যাঞ্চাইজিদের মধ্যে ভাগ করে দিচ্ছে বোর্ড, তবে এর জন্য প্লেয়ার পেমেন্ট পরিশোধ করা বাধ্যতামূলক শর্ত হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে।
বিপিএলে এতদিন স্পন্সর লোগো ছাড়া আয়ের উল্লেখযোগ্য কোনো উৎস ছিল না ফ্র্যাঞ্চাইজিদের জন্য। দেশে হোম এবং অ্যাওয়ে ভিত্তিক খেলা না থাকায় স্থানীয় কমিউনিটি নির্ভর আয় বা সমর্থনও গড়ে ওঠেনি। এ কারণে অনেক সময় ম্যাচ ফিক্সিংসহ নানা নেতিবাচক ঘটনা সামনে এসেছে, যা দেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।
তবে বিসিবির এ বছরের নতুন উদ্যোগ বিপিএলে একটি স্বচ্ছ এবং কার্যকর বাণিজ্যিক মডেল গঠনের দিকে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এবারের টিকেট বিক্রি হয়েছে অনলাইনে এবং তার মাধ্যমে ভালো পরিমাণ রাজস্ব এসেছে বোর্ডের ঘরে। সেই আয়ের একটি অংশ সাতটি ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে শেয়ার করা হয়েছে।
ক্রমানুসারে এক থেকে চার নম্বর পর্যন্ত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো পেয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার মার্কিন ডলার করে, আর পাঁচ থেকে সাত নম্বরে থাকা দলগুলো পেয়েছে প্রায় ৩৬ হাজার ডলার করে। তবে এ টাকা তারা পাচ্ছে তখনই, যখন প্রমাণ করতে পারবে যে তারা খেলোয়াড়দের সব পাওনা পরিশোধ করেছে।
এই উদ্যোগকে ইতিবাচক মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, বিসিবি যদি ভবিষ্যতে টিকিটিং ছাড়াও ব্রডকাস্টিং রাইটস এবং হোম-অ্যাওয়ে ভেনু ভিত্তিক আয়ের পথ তৈরি করে, তাহলে বিপিএল একটি পূর্ণাঙ্গ ফিনান্সিয়াল মডেলে রূপ নিতে পারবে।
বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাব, দেশে যেহেতু ভেনু কম, সেক্ষেত্রে দুটি দল একটি ভেনু শেয়ার করে হোম ম্যাচ খেলতে পারে। এতে করে অঞ্চলভিত্তিক ক্রিকেট উন্নয়নের সুযোগ তৈরি হবে এবং ভক্তদের সংযুক্তি বাড়বে।
সবশেষে, খেলোয়াড়দের পেমেন্ট নিশ্চিত করে রেভিনিউ ভাগাভাগির মাধ্যমে বিসিবি যে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, তা দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে স্বচ্ছতা এবং দীর্ঘমেয়াদি টেকসই ব্যবস্থার সূচনা বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।