সীমান্তে আইন লঙ্ঘনের অজুহাতে কাউকে গুলি করে হত্যা করার কোনো অধিকার সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, যারা এ ধরনের কাজ করে, তাদের ভারতের নিজস্ব আইনের আওতায় বিচার হওয়া উচিত।
বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
তৌহিদ হোসেন বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কোনো অধিকার নেই কাউকে গুলি করে হত্যা করার। এটি সম্পূর্ণ বেআইনি। আমরা নিয়মিত এ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি এবং সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।”
এক সাংবাদিক জানতে চান, সীমান্ত হত্যা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার শুরুতে কঠোর অবস্থানে থাকলেও এখন কি কিছুটা নরম হয়েছে? জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “একদমই না।”
পুশ-ইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশ-ইনের ঘটনা এখনো ঘটছে, যা দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন।
তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে নির্দিষ্ট একটি প্রক্রিয়া রয়েছে, যার মাধ্যমে নাগরিক শনাক্ত করে তালিকা বিনিময়ের মাধ্যমে প্রত্যাবাসন হয়। কিন্তু এই প্রক্রিয়া না মেনে পুশ-ইন করা হলে তা স্পষ্টত নিয়ম লঙ্ঘন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “সম্প্রতি আমরা কয়েকজন নাগরিককে নিয়ম অনুযায়ী ফিরিয়ে নিয়েছি। আমরা জোর দিয়ে বলছি, ভারত যেন এই পদ্ধতি মেনে চলে। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”
তিনি আরও বলেন, সীমান্ত হত্যা ও পুশ-ইন বন্ধে বাংলাদেশ সরকার সচেতন এবং কূটনৈতিকভাবে চাপ অব্যাহত রেখেছে। দুই দেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার স্বার্থেই এসব নিয়ম মেনে চলা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।