ভারতে বলিউড তারকারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ভিডিওর মাধ্যমে তাদের কণ্ঠ, ব্যক্তিত্ব এবং পরিচয় সংরক্ষণের জন্য আদালতের সাহায্য চাইছেন। বিশেষত অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন ইউটিউবের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তারা আদালতকে অনুরোধ করেছেন, এমন সব ভিডিও অপসারণের নির্দেশ দিতে যেগুলো তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি বা ব্যক্তিত্বের অধিকার লঙ্ঘন করে।
তারা আরও চাইছেন, গুগলকে বাধ্য করা হোক যাতে এমন ভিডিও যে কোনোভাবে অন্যান্য AI মডেলকে প্রশিক্ষণ দেয় না। তাদের আবেদন অনুযায়ী, ইউটিউবে আপলোড করা ভিডিওর মাধ্যমে অন্য AI প্ল্যাটফর্মের প্রশিক্ষণে যদি নেতিবাচক বা ভুল তথ্য ছড়ায়, তাহলে এ ধরনের কন্টেন্ট আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
বচ্চান দম্পতির মামলা ভারতের আদালতে ব্যক্তিত্ব সংরক্ষণের অধিকারের বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে উচ্চ-প্রোফাইল মামলা হিসেবে ধরা হচ্ছে। আদালতের নথি অনুযায়ী, তারা গুগল ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে ৪৫০,০০০ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে বলছেন এবং এমন সব কনটেন্ট ব্যবহারের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চান।
সেপ্টেম্বরে আদালত তাদের প্রদত্ত ৫১৮টি ওয়েবসাইট লিংক ও পোস্ট অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। নথিতে উল্লেখিত কনটেন্টের মধ্যে আছে, অভিষেককে চলচ্চিত্র অভিনেত্রীর সঙ্গে আকস্মিকভাবে চুম্বন করতে দেখানো AI ভিডিও, ঐশ্বর্যা ও সালমান খানের মিলন দৃশ্যের AI ভিডিও, এবং একটি কুমিরের শিকার сцен যা বাস্তবের সাথে মেলেনি।
ইউটিউবের ভারতের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গুঞ্জান সনি বলেছিলেন, ইউটিউব ভারতের নতুন টেলিভিশন। ৬ কোটি ব্যবহারকারীর এই প্ল্যাটফর্মে বলিউড বিষয়বস্তু অত্যন্ত জনপ্রিয়। ইউটিউবের ডেটা শেয়ার নীতি অনুযায়ী, ব্যবহারকারীরা চাইলে ভিডিওটি অন্যান্য AI প্ল্যাটফর্মের প্রশিক্ষণের জন্য শেয়ার করতে পারে।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মামলায় সরাসরি ইউটিউবের বিরুদ্ধে মামলা করা কঠিন, তবে আদালত ইউটিউবকে তাদের ব্যবহারকারী নীতিতে কিছু পরিবর্তন বা দ্রুত অভিযোগ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করতে বাধ্য করতে পারে।
এই মামলার মাধ্যমে ভারতীয় বলিউড তারকারা এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্ভাব্য ক্ষতি ও ব্যক্তিত্বের লঙ্ঘন রোধ করতে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করছেন।