ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক পারস্পরিক সমতার ভিত্তিতে হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই, কিন্তু তা হতে হবে সমানে সমানে, আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ছাড়া।”
শনিবার গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, যারা মানুষের ওপর ظلم ও নির্যাতন করেছে, তারা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। তিনি দাবি করেন, “ভারত সবসময় আমাদের সমস্যায় ফেলার চেষ্টা করেছে। আমরা আমাদের ন্যায্য পানির হিস্যা পাইনি। তিস্তার পানি বা ফারাক্কার পানির ন্যায্য অংশও আমরা পাইনি।”
বিএনপিকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে ও পরাজিত করতে চতুর্দিক থেকে ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে তিনি মিথ্যা প্রচারণায় বিভ্রান্ত না হতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে আসন্ন নির্বাচনের জন্য সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রসঙ্গ টেনে ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ তাকে একটি নিরপেক্ষ উপদেষ্টা পরিষদ গঠন এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব দিয়েছে।
তবে তিনি কতিপয় উপদেষ্টার বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা এটা শুনতে চাই না, বাংলাদেশের মানুষও এটা শুনতে চায় না। তারা পূর্ণ নিরপেক্ষতা এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।”
বিএনপিকে সংস্কার শেখানোর প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, “বিএনপিই সংস্কারের প্রবর্তক। আমাদের ৩১ দফা রূপরেখার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের মানুষের জন্য নতুন আশা নিয়ে আসছি।”