বিএনপি যদি ভবিষ্যতে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে, তবে দলের আন্দোলনে শহীদ ও আহত নেতাকর্মীদের পরিবারের দায়িত্ব রাষ্ট্র বহন করবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতা মকসুদুল মমিন মিথুন।
শনিবার আহত কর্মী আরমান মোল্লার পরিবারের খোঁজ নিতে নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। এই সময় তিনি জানান, তারেক রহমান সংবাদ দেখে তাৎক্ষণিকভাবে দায়িত্বশীল নেতাদের ঘটনাস্থলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিএনপি পরিবার নামক একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত এই মানবিক কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নেতৃত্বে থাকা আতিকুর রহমান রুমন, মকসুদুল মমিন মিথুন এবং উপদেষ্টা আবুল কাসেম।
মকসুদুল মমিন বলেন, “এই পরিবারের সন্তানেরা আজ এতিমখানায় পড়াশোনা করছে। এটি মর্মান্তিক। যারা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।” তিনি জানান, ব্যক্তিগতভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই পরিবারের শিক্ষার ব্যয়ভার বহনের অঙ্গীকার করেছেন এবং সন্তানেরা নিজ বাড়ি থেকেই পড়াশোনা চালিয়ে যাবে।
এই সময় দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে আন্তর্জাতিক ও অর্থ বিষয়ক সহসম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন এবং জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রনি উল্লেখযোগ্য।
মকসুদুল মমিন আরও বলেন, “আমরা এখানে কোনো রাজনৈতিক সভা করতে আসিনি। এটি একটি মানবিক দায়িত্ব। আমরা চাই, শহীদদের রক্তের দামে অর্জিত অধিকার যেন অবহেলিত না হয়। তাদের পরিবারের প্রতি সরকার এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের দায়িত্ব রয়েছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “যারা এখন প্রশাসনে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত, যারা নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি করছেন, তাদের হাতে আজও শহীদ পরিবারের তালিকা নেই।”
বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে উঠে আসে, বর্তমান পরিস্থিতিতে যারা আন্দোলনের সুফল ভোগ করছেন, তাদের উচিত শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। নেতারা আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে শহীদ পরিবার ও আহতদের চিকিৎসা ও জীবনের দায়িত্ব সরকার নিজ কাঁধে নেবে।
তাদের মতে, এটি শুধু রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি নয়, একটি মানবিক অবস্থান।
এই মানবিক কার্যক্রমের খবর জানাতে স্থানীয় সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
বিএনপি নেতাদের দাবি, যারা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের যেন ভবিষ্যতে আর কোনদিন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়তে না হয়।