আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আয়োজনের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। সোমবার (৯ জুন) নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনের দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলমান। এটি কোনো ঈদ, বর্ষাকাল বা নির্দিষ্ট সময়সীমার সঙ্গে আবদ্ধ নয়। আমরা ১৭ বছর ধরে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছি। এবার এই অধ্যায়ের শেষ দেখতে চাই।’’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘‘আমরা এমন একটি নির্বাচন চাই যেখানে জনগণ ভয়ে নয়, স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। নির্বাচনের দিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’’
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে গয়েশ্বর বলেন, আন্দোলনের ধরন ও কৌশল রাজপথেই নির্ধারিত হবে।
আসন্ন নির্বাচন এপ্রিল মাসে আয়োজনের সরকারি অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘‘এ সময়টা ভোটের জন্য উপযুক্ত নয়। আবহাওয়া ও রমজান মাসকে অজুহাত হিসেবে দেখিয়ে আবারও নির্বাচন পেছানোর শঙ্কা তৈরি হয়েছে। জনগণের মনে এই সরকার নিয়ে আস্থার সংকট রয়েছে। সরকারকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরের সদিচ্ছা দেখাতে হবে।’’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, নির্বাচনের দাবি শুধু বিএনপির নয়, এটি জনগণের দাবির প্রতিফলন। তিনি বলেন, ‘‘বিএনপি জনগণের পক্ষে কথা বলে। সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি আজ জনগণের আকাঙ্ক্ষা।’’
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘সরকার যদি অহংকার ত্যাগ করে, তবে নির্বাচন সময় পুনর্বিবেচনা করতে পারে। নভেম্বর কিংবা ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন হলে সরকারের সম্মান ক্ষুণ্ণ হবে না।’’
গয়েশ্বর প্রশ্ন তোলেন, ‘‘ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে সমস্যা কোথায়? এপ্রিল মাসে নির্বাচন করার সিদ্ধান্তের পেছনে কোন যুক্তি কাজ করছে তা সরকার পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা দিতে পারছে না।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘গণতন্ত্রের রূপান্তর বা নির্বাচন হওয়া উচিত ছিল সরকারের প্রধান এজেন্ডা। অথচ সরকার তা না করে গৌণ এবং অবাস্তব বিষয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছে।’’
বিএনপি নেতার মতে, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই দেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।