ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে জাহাঙ্গীরনগর কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ তথ্য জানান বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ভোট কারচুপির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ছাত্রদল একই কারণে জাকসু নির্বাচন বর্জন করেছে। তার ভাষায়, জাকসুর ভোট ছিল “মঞ্চস্থ” এবং এসব নির্বাচন দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হচ্ছে।
প্রিন্স দাবি করেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র ইচ্ছাকৃতভাবে বাড়ানো হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা এবং নতুন রাজনৈতিক দলের তরুণ নেতারাও জড়িত আছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে জনগণ কোনো প্রকার বাধা বা বিশৃঙ্খলা মেনে নেবে না। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ ছাড়া কার্যকর শাসন ও শক্তিশালী গণতন্ত্র সম্ভব নয়। ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত হলে দেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি নেতার দাবি, ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রো-ইন্ডিয়ান ও প্রো-পাকিস্তানি চক্র বিএনপির বিজয় রুখে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তার মতে, স্বাধীনতা বিরোধী এবং একাত্তরের গণআন্দোলনের বিপরীত শক্তি এখনো সক্রিয় রয়েছে এবং একটি ধ্বংসাত্মক খেলায় লিপ্ত।
“কোনো ষড়যন্ত্রে ভয় নেই, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব বাধা প্রতিহত করব,” বলেন ইমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি ইংরেজি প্রবাদ উদ্ধৃত করে বলেন, “কালো কখনো অন্য রঙ ধারণ করে না।” তার দাবি, জামায়াত ও আওয়ামী লীগ কখনোই অসৎ রাজনীতির পথ ত্যাগ করতে পারবে না।