দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠনের বিষয়ে এখনও কোনো ঐক্যমতে পৌঁছানো যায়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ১৪তম দিনের রাজনৈতিক সংলাপ শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, “বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে প্রস্তাব এসেছে। কেউ কেউ প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (PR) পদ্ধতির পক্ষে মত দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, সংসদের ‘পাওয়ার ফাংশন’ কী হবে, বিল পাস ও সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে উচ্চকক্ষের ভূমিকা কী—তা স্পষ্ট করা দরকার। কেউ কেউ অর্থনৈতিক সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিন দিনেরও বেশি আলোচনা শেষে এখনো কোনো নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত আসেনি।”
তিনি জানান, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব জাতীয় ঐক্যমত কমিশনকে দেওয়া হয়েছে এবং কমিশন আগামী সপ্তাহে তাদের মতামত জানাবে। এরপর বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের অবস্থান দেবে।
উচ্চকক্ষ নিয়ে আলোচনা হলেও নিচুকক্ষের নির্বাচনী পদ্ধতি নিয়ে কোনো মতবিরোধ নেই বলে জানান সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, অধিকাংশ দল উচ্চকক্ষ থাকা উচিত বলে একমত, তবে সেই কক্ষের গঠন ও ক্ষমতার কাঠামো নিয়ে মতবিরোধ রয়ে গেছে।
বিএনপির ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব অনুযায়ী উচ্চকক্ষ নিয়ে দলের আগের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা। বিশেষত যারা অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে রয়েছেন তাদের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা যেন রাষ্ট্র নির্মাণে কাজে আসে।”
বিএনপি প্রস্তাব করেছে, উচ্চকক্ষে ১০০টি আসন রাখা হোক এবং তা যেন নারীদের সংরক্ষিত আসনের মতোই দলীয় আসন অনুপাতে বণ্টিত হয়। এই প্রক্রিয়ায় সব দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন সালাহউদ্দিন।
সংলাপ চলমান থাকায় তিনি এ বিষয়ে আরও মন্তব্য করতে রাজি হননি।