বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার রাতে প্রকাশিত একটি প্রেস বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের অজ্ঞাত নামের উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত দুর্নীতি সম্পর্কিত ভিত্তিহীন প্রতিবেদনগুলো প্রত্যাখ্যান করেছেন।
ফখরুল বলেন, তার দল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও সকল উপদেষ্টার সততা ও ন্যায়পরায়ণতায় পূর্ণ বিশ্বাস রাখে। তিনি বলেন, “আমরা (বিএনপি) এর সাথে কোনো প্রকার সম্পর্ক নেই এবং আমরা তাদের সম্মান করি।”
কয়েকটি সংবাদপত্র গতকাল শনিবার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে সরকারে উপদেষ্টাদের দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। প্রতিবেদনে এই অভিযোগের উৎস হিসেবে বর্ণিত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার, যিনি সরকারি এক প্রাক্তন সচিব বলে পরিচিত। তবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটি সাত্তারের ব্যক্তিগত বক্তব্য এবং দলের সঙ্গে এর কোনো যোগ নেই।
গত শুক্রবার ঢাকায় বাংলাদেশ প্রশাসনিক সংস্থার আয়োজিত এক সেমিনারে সাত্তার এসব অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আট জন উপদেষ্টা দুর্নীতিতে জড়িত এবং গোয়েন্দা সংস্থার কাছে এ সংক্রান্ত প্রমাণ রয়েছে। তার কথায়, অন্তর্বর্তী সরকারে দায়িত্ব নেওয়া এই উপদেষ্টারা জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের রক্তের বিনিময়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, তবুও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সাত্তার আরও অভিযোগ করেন, এক উপদেষ্টার সহকারী ব্যক্তিগত সচিবের অ্যাকাউন্টে দুইশো কোটি টাকারও বেশি অর্থ পাওয়া গেছে, তবুও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে নুরজাহান বেগমের নিয়োগ কতটুকু যুক্তিসঙ্গত এবং দুটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়—স্থানীয় সরকার ও যুবক্রীড়া—কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই দায়িত্ব দেওয়া কতটা যৌক্তিক।
বিএনপি মহাসচিব স্পষ্ট করে বলেন, সাত্তার তার ব্যক্তিগত বক্তব্যের জন্য সম্পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং বিএনপি এই বিষয়ে কোনো অংশীদার নয়।
এই বিবৃতিতে বিএনপি তার অবস্থান পরিষ্কার করেছে যে, তারা সরকারে থাকা উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে যে কোনো ভিত্তিহীন এবং নির্ভরযোগ্য তথ্যবিহীন অভিযোগের বিরুদ্ধে। তারা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সরকারের সঙ্গে সহমত পোষণ করছে।