বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, দল বর্তমানে ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের নির্বাচন করছে। তিনি শুক্রবার ঢাকার গুলশানস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বলেন, শিগগির প্রতিটি আসনে একক প্রার্থীকে ‘গ্রিন সিগনাল’ দেওয়া হবে যাতে তারা মাঠের কার্যক্রম শুরু করতে পারে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক ও উদার রাজনৈতিক দল। প্রতিটি আসনে অনেক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দল এখন প্রার্থীদের সুসংগঠিতভাবে চূড়ান্ত করছে। তবে নির্বাচন সময়সূচি ঘোষণার পরেই একক প্রার্থীর অনুমোদন আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের রাজনৈতিক জীবনে অপ্রয়োজনীয় সংকট সৃষ্টিকারী কোনো বিষয় উত্থাপিত না হওয়ার জন্য সচেতন হতে হবে। এছাড়া নির্বাচন-কেন্দ্রিক জোট গঠনের বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
গণতন্ত্র রক্ষায় রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, তাদের মধ্যে পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও প্রতিফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধ দলগুলো গণতন্ত্র সংক্রান্ত বিষয়ে একসঙ্গে দাঁড়াবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরেই আওয়ামী লীগকে দায়িত্বমুখী করতে দাবি জানাচ্ছে, তবে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষপাতী নয়। কোনো পদক্ষেপ আদালতের মাধ্যমে হওয়া উচিত।
সালাহউদ্দিন আহমেদ যোগ করেন, “হত্যাকাণ্ডের পরও আওয়ামী লীগ কোন অনুতাপ দেখায়নি। বরং তারা দিল্লি থেকে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।” তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আইসিটি আদালতে মামলা দায়ের করা উচিত।
প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টাকে এটি বলা এড়ানো উচিত ছিল যে, জনগণ বর্তমান সরকারকে পাঁচ বছরের জন্য চায়।”
