আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কিছুটা শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নানা ষড়যন্ত্র ও দেশের বিভিন্ন ঘটনার কারণে তাদের কিছুটা উদ্বেগ আছে। তবুও তিনি বিশ্বাস করেন, নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে এবং তা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
রোববার ঠাকুরগাঁও জেলা স্কুল মাঠে বিএনপির জেলা শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ফখরুল জানান, সম্মেলন সফল করার জন্য সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন হলো ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি প্রধান বক্তব্য দেবেন। এ সম্মেলন নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।”
জাতীয় পার্টির এক নেতার বক্তব্য নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে ফখরুল মন্তব্য করতে রাজি হননি। ওই নেতা জানিয়েছিলেন, তারা সৎ ও পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির আওয়ামী লীগ নেতাদের মনোনয়ন দিতে পারে।
অন্যদিকে ঢাকার কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী আয়েরকর আইনজীবী ফোরামের আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “দেশে স্থিতিশীলতা ফিরবে নির্বাচনের মাধ্যমে। জনগণের আশা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণে একটি সংসদীয় সরকার প্রতিষ্ঠা জরুরি।”
তিনি দাবি করেন, ষড়যন্ত্রকারীরা নির্বাচনে বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করছে। আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে, রমজানের আগে বা তারও আগে ভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগির দেশে ফিরবেন। তার কথায়, “তারেক রহমান দেশে ফিরলেই কার্যত দলের অর্ধেক প্রচার সম্পন্ন হয়ে যাবে। সেদিন থেকেই নির্বাচনী কার্যক্রম সুসংহত হবে।”
তিনি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রকে দুর্বল করার অভিযোগও আনেন। তার ভাষায়, “আগামী দিনের রাজনীতি নিশ্চিত করবে আওয়ামী লীগ আর টিকতে পারবে না।”
আগামী নির্বাচনের পরিবেশ ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রস্তুতি নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা তীব্র হচ্ছে। বিএনপি বলছে, তারা শুরু থেকেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
