চট্টগ্রামের মাদুনাঘাট এলাকায় অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর এক কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতের নাম আবদুল হাকিম (৬৫)। তিনি রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের পাঞ্চখাইন গ্রামের বাসিন্দা এবং হামিম এগ্রোর মালিক ছিলেন। স্থানীয়ভাবে তিনি স্থগিত হওয়া বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রাউজান থেকে চট্টগ্রাম শহরের পথে একটি প্রাইভেটকারে করে যাচ্ছিলেন হাকিম ও তাঁর সঙ্গীরা। গাড়িটি মাদুনাঘাট এলাকায় হালদা নদীর কাছে পৌঁছালে মোটরসাইকেলযোগে আসা কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাদের গাড়ি থামিয়ে গুলি চালায়। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রামের এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক হাকিমকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুজনকে ভর্তি করা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, নিহত ও আহতরা গিয়াস কাদের চৌধুরীর অনুসারী ছিলেন, আর হামলাকারীরা বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে পুলিশ বলছে, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং হামলাকারীদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত নয়।
রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, “গুলির ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।”
গত জুলাইয়েও চট্টগ্রাম–রাঙামাটি সড়কের সাত্তারহাট এলাকায় গিয়াস কাদের ও গোলাম আকবরপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হন। সেই ঘটনায় গোলাম আকবর নিজেও গুলিবিদ্ধ হন। পরে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কমিটি বিলুপ্ত করে এবং গিয়াস কাদেরকে সাময়িকভাবে স্থগিত করে।
রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হওয়ার পর গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে রাউজানে দলীয় কোন্দল ও সংঘর্ষে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের অন্তত ১৬ জন কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।
