দীর্ঘ ক্যারিয়ার, অজস্র হিট গান ও ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন। এই সবকিছু নিয়েই আসছে বিশ্ববিখ্যাত গায়ক বিলি জোয়েলের জীবনীভিত্তিক দুই পর্বের ডকুমেন্টারি ‘Billy Joel: And So It Goes’। আগামী ১৮ জুলাই প্রথম পর্ব এবং ২৫ জুলাই দ্বিতীয় পর্ব মুক্তি পাবে HBO ও HBO Max-এ। প্রতি পর্ব চলবে প্রায় আড়াই ঘণ্টা করে।
সুসান ল্যাসি ও জেসিকা লেভিন পরিচালিত এই ডকু-সিরিজটির প্রিমিয়ার হয়েছে ২০২৫ সালের ট্রাইবেকা ফেস্টিভ্যালে। তবে, সম্প্রতি স্নায়ুজনিত রোগ ‘নরমাল প্রেসার হাইড্রোসেফালাস’ শনাক্ত হওয়ায় বিলি জোয়েল নিজে উপস্থিত থাকতে পারেননি।
পরিচালক ল্যাসি বলেন, “বিলি এখন বিশ্রাম নিচ্ছেন, থেরাপি করছেন। ডাক্তাররা আশাবাদী। তিনি ঠিক হয়ে উঠবেন।”
দুটি পর্বজুড়ে বিলির শৈশব, সঙ্গীতজগতে প্রবেশ, সম্পর্ক, সাফল্য ও সংকট নিয়ে খোলামেলা আলোচনা থাকবে। থাকবে তার অজানা পারিবারিক গল্প, প্রথম স্ত্রী এলিজাবেথ ওয়েবারকে ঘিরে লেখা গান, সুপারমডেল ক্রিস্টি ব্রিংকলি ও মেয়েকে ঘিরে সৃষ্ট ‘Uptown Girl’, এবং এলটন জনের সঙ্গে দীর্ঘ সঙ্গীতসফর।
প্রতিটি অংশে থাকবে ব্যতিক্রমী একক সাক্ষাৎকার, বিরল পারফরম্যান্স ফুটেজ, ঘরোয়া ভিডিও ও ব্যক্তিগত ছবি। এছাড়াও অংশ নিয়েছেন ব্রুস স্প্রিংস্টিন, স্টিং, জন মেলেনক্যাম্প, গার্থ ব্রুকস, পল ম্যাককার্টনি, পিঙ্ক এবং পরিবারের সদস্যরাও।
প্রথম পর্বে দেখা যাবে কিশোর বয়সে বাবার বিচ্ছেদ, স্থানীয় ব্যান্ডের সদস্য হিসেবে সঙ্গীতে হাতেখড়ি, ও প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের ভিত্তিতে লেখা গানের গল্প। সেই সঙ্গে রয়েছে ‘Piano Man’ সৃষ্টির পেছনের চুক্তি, এলকোহলের সঙ্গে সংগ্রাম, এবং একটি ভয়াবহ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার প্রভাব।
দ্বিতীয় পর্বে থাকবে ‘The Nylon Curtain’ অ্যালবামের রাজনীতি ও বাস্তবতা নিয়ে গাওয়া গান, বাবার সঙ্গে পুনর্মিলন, এবং নাৎসি জার্মানি থেকে পরিবারের বেঁচে ফেরার গল্প। উঠে আসবে ‘Vienna’ গানটির পেছনের কাহিনি, সেন্ট বার্থসে ক্রিস্টি ব্রিংকলির সঙ্গে প্রেম, এবং পরবর্তীতে নতুন পরিবার ও এলটন জনের সঙ্গে সহযোগিতা।
এই ডকুমেন্টারিতে প্রযোজক হিসেবে রয়েছেন এমা পিল্ডস। নির্বাহী প্রযোজক টম হ্যাঙ্কস ও গ্যারি গোটজম্যান (Playtone), শন হেইস ও টড মিলিনার (Hazy Mills)। HBO-এর পক্ষ থেকে যুক্ত হয়েছেন ন্যান্সি আব্রাহাম, লিসা হেলার ও সারা রদ্রিগেজ।
এই ডকু-সিরিজ শুধু একজন সঙ্গীতশিল্পীর সাফল্যের গল্প নয়, বরং একজন মানুষের জীবন, সংগ্রাম, ভালোবাসা ও পুনর্জন্মের প্রতিচ্ছবি। দর্শকদের কাছে এটি হয়ে উঠতে পারে প্রেরণার উৎস, বিশেষ করে যারা সঙ্গীতকে জীবন বলে মনে করেন।