ভোলায় বহুদিনের দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে স্থানীয়রা শুক্রবার বিকেলে এক বিরল ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন। ভোলা–বরিশাল সেতু নির্মাণসহ পাঁচ দফা দাবিতে তারা তিনজন সরকারি উপদেষ্টার গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন।
শুক্রবার বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। উপদেষ্টাদের বহনকারী গাড়িগুলো অল্প সময়ের জন্য থেমে যায়। পরে জেলা বিএনপির সভাপতি ও অন্যান্য স্থানীয় নেতারা এসে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেন।
ঘটনার আগে বিকেল ৪টার দিকে জেলা অর্থনৈতিক উন্নয়নবিষয়ক এক বৈঠকে যোগ দেন তিন উপদেষ্টা—বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান; শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; এবং বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন।
বৈঠকে ভোলা–বরিশাল সেতুর বিষয়ে সন্তোষজনক উত্তর না পেয়ে উপস্থিত আন্দোলনকারীরা প্রথমে সভাকক্ষে অবস্থান নেন। তাদের অভিযোগ, কয়েক মাস আগে ঢাকায় তাদের জানানো হয়েছিল যে জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে সেতুর কাজ শুরু হবে।
এক বিক্ষোভকারী বলেন, “আজ ভোলায় এসে তিনি বললেন আবার নতুন করে সক্ষমতা যাচাইয়ের কাজ হবে। কবে সেতু হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এ কারণে আমরা গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েছি।”
আরেকজন বলেন, “আমাদের পাঁচ দফা দাবি বহুদিনের। বহু বছর অপেক্ষায় আছি। এখন স্পষ্ট অঙ্গীকার চাই।”
আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দিয়েছেন যে তারা শনিবার সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি ও ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেডের সামনে আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করবেন।
