প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বুধবার মন্তব্য করেছেন যে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় ১৫ মাস ধরে পোশাক রপ্তানি এবং তৈরি পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা নীতিগত অগ্রাধিকারের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের একটি মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি তার যাচাইকৃত ফেসবুক পেজে এই কথা লেখেন। প্রেস সচিব আরও বলেন, “গত বছরের শেষের দিকে যখন কারখানাজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দিয়েছিল, তখন সরকার শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছিল।”
বিজিএমইএ সভাপতি মঙ্গলবার আরমজি শিল্পের মুখোমুখি হওয়া গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করতে বিগত চার মাস ধরে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন।
ঢাকার বিজিএমইএ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদ বলেন, “আমরা চার মাস ধরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য অনুরোধ করছি কিন্তু পাইনি। অথচ স্পেসএক্সের স্টারলিংক থেকে একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট, যিনি মাত্র ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করছেন, আসলে তিনি তার সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু তিনি ৪০ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের একটি খাতের প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করেন না।”
এই মন্তব্যের পর প্রেস সচিব বলেন, “দেশের প্রভাবশালী বাণিজ্য সংগঠনের নেতৃত্ব গ্রহণের পর থেকে এখনো প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ না পাওয়ায় নতুন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান যে হতাশা প্রকাশ করেছেন তা আমরা বুঝতে পারছি।”
তবে প্রেস সচিব জোর দিয়ে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে পোশাক রপ্তানি এবং তৈরি পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা সরকারের নীতিগত অগ্রাধিকারের কেন্দ্রে রয়েছে।
বিজিএমইএ বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্পের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন। এই খাত দেশের মোট রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ অবদান রাখে এবং কোটি কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে।
