চট্টগ্রাম, ২৬ মে, ২০২৫ (ডেপ্রবা) : বাংলাদেশ গার্মেন্টস প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ২০২৫-২০২৭ সালের মেয়াদের নির্বাচনকে ঘিরে চট্টগ্রামে জমে উঠেছে নির্বাচনী হাওয়া। আগামী ৩১ মে অনুষ্ঠিতব্য এ নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ফোরাম ও সম্মিলিত পরিষদের মধ্যে। যদিও শেষ মুহূর্তে ‘ঐক্যপরিষদ’ নামে নতুন একটি জোট আত্মপ্রকাশ করলেও তারা মাত্র কিছু পদের জন্য প্রার্থী দিয়েছে। ফলে প্রতিযোগিতা মূলত পুরনো দুই জোটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে।
চট্টগ্রাম অঞ্চলে ফোরামের নয়জন প্রার্থীর প্যানেলে নেতৃত্বে আছেন কেডিয়াস গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম রহমান। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচিত হলে দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গার্মেন্টস খাতের ভাবমূর্তি উন্নয়নে কাজ করবেন। তার মতে, “আমাদের দরকার আমাদের নিজস্ব একটি ভয়েস, যেটা পলিসি মেকারদের কাছে পৌঁছাতে পারে। সে জন্য প্রয়োজন নিজস্ব একটি মন্ত্রণালয়।”
ফোরামের অন্য প্রার্থী মোহাম্মদ রফিক চৌধুরী (ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চৌধুরী ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেড) উল্লেখ করেন, “এইবার যদি প্রকৃত মালিকেরা ভোট দেন এবং নির্বাচন সুষ্ঠু হয়, তবে আমরা বিজিএমইএর সেই পুরোনো শক্ত অবস্থানে ফিরতে পারব, যেমনটি ২০০০ সালের আগে ছিল।”
অন্যদিকে সম্মিলিত পরিষদের নয়জন প্রার্থীর প্যানেলে নেতৃত্বে রয়েছেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আবু তাইয়্যব। এ ছাড়া এইচকেসি অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, “আমাদের উদ্যোক্তারা একধরনের অর্থনৈতিক মুক্তিযোদ্ধা। তাদের পাশে দাঁড়িয়ে আমরা একটি শক্তিশালী বিজিএমইএ গড়তে চাই।”
প্রার্থীদের ভাষ্যে উঠে এসেছে গার্মেন্টস শিল্পে নিরাপত্তা, কাস্টমস, বন্ড সুবিধা, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও বায়ার উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। তাদের মতে, এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছে সরাসরি ও পরোক্ষভাবে কোটি মানুষ। প্রতিটি কারখানার সামনে চা দোকান, স্যান্ডেল বিক্রেতা থেকে শুরু করে ব্যাংক, পরিবহন ও ইনস্যুরেন্স খাত পর্যন্ত এই শিল্পের ওপর নির্ভরশীল।
এই নির্বাচন শুধু সংগঠনের নেতৃত্ব নির্ধারণ নয়, বরং দেশের বৃহত্তম রপ্তানি খাতকে কোন পথে পরিচালিত করা হবে, সেই পথরেখা নির্ধারণের সুযোগও বয়ে আনবে। ৩১ মে চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু হোটেলে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনী উত্তেজনা এখন তুঙ্গে, ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে চলছে শেষ মুহূর্তের জোর প্রস্তুতি।
নেতৃত্বের হাত ধরে গার্মেন্টস খাত আরও এগিয়ে যাবে – এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।