Wednesday, July 2, 2025
Homeখেলাধুলাবিফিএফ নেক্সট গ্লোবাল স্টার ট্রায়ালসে আলো ছড়ালেন প্রবাসী তরুণ ফুটবলাররা

বিফিএফ নেক্সট গ্লোবাল স্টার ট্রায়ালসে আলো ছড়ালেন প্রবাসী তরুণ ফুটবলাররা

ঢাকায় জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ফুটবলপ্রেমীদের মন জয় করলেন বিদেশে বেড়ে ওঠা সম্ভাবনাময় প্রতিভারা

ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সোমবার এক অনন্য দৃশ্যের জন্ম দিল ‘বিফিএফ নেক্সট গ্লোবাল স্টার’ প্রজেক্টের শেষ দিনের ম্যাচগুলো। পরিচিত কোনো জাতীয় দলের তারকা খেলোয়াড় ছিলেন না, তবুও গ্যালারিতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। প্রবাসে বেড়ে ওঠা ১৪ থেকে ২৭ বছর বয়সী তরুণ ফুটবলারদের দুইটি ৫০ মিনিটের ম্যাচে প্রমাণ করে দিলেন—স্বপ্ন কখনো দেশ দেখে না।

ইউএসএ থেকে আসা ১৯ বছর বয়সী লেফট উইঙ্গার বিতষোক চাকমা একটি একক গোল করে দর্শকদের মুগ্ধ করলেন। ম্যাচ শেষে যখন মিডিয়া কথা বলতে চাইল, তখন তাকেও দৌড়ে চলে যেতে হয় ড্রেসিং রুমে, সেলফি-শিকারিদের ভিড় সামলাতে।

“আরও খেলতে চাইতাম। খুব মজা পেয়েছি,” হাসিমুখে বলে গেলেন বিতষোক।

অনূর্ধ্ব-১৯ ও অনূর্ধ্ব-২৩—এই দুই স্তরের ম্যাচেই দর্শকরা পেয়েছেন নিখাদ ফুটবলের স্বাদ।

অনূর্ধ্ব-১৯ লাল দলের পক্ষে ইফাজ আবেদের গোলে এগিয়ে যায় দলটি। দুই গোলেই ছিল ইব্রাহিম নওয়াজের সৃষ্টিশীলতা। বিতষোকের স্পিড ও ড্রিবলিং ছিল লাল দলের পরিকল্পনার মূল অস্ত্র। যদিও ইয়াসা বিন জিয়ার গোলে সবুজ দল ২-২ সমতায় ম্যাচ শেষ করে।

অনূর্ধ্ব-২৩ ম্যাচে গোল না হলেও ছিল রক্ষণ ও পরিকল্পনার পরিপক্বতা। সঞ্জয় করিমের ছন্দময় মধ্যমাঠ নিয়ন্ত্রণ, নাবিল নাসিরের চতুর ড্রিবলিং, একরামুল ‘কাসপার’-এর আত্মবিশ্বাসী রক্ষণভাগ—সব কিছুতেই ফুটে উঠেছে ভবিষ্যতের সম্ভাবনা।

কাসপার বলেন, “আমার পারফরম্যান্স মোটামুটি ছিল। আরও সুযোগ পেলে ভালো খেলতে পারব।”

নাবিল নাসির বলেন, “জীবনের স্মরণীয় এক অভিজ্ঞতা। ভবিষ্যতে আরও ক্যাম্প হলে আমরা আরও উন্নতি করতে পারব।”

বাফুফে এখন স্কাউটদের রিপোর্টের ভিত্তিতে নির্বাচিতদের ব্যক্তিগতভাবে মূল্যায়ন জানাবে এবং সম্ভাবনাময়দের জাতীয় দলের বয়সভিত্তিক ক্যাম্পে ডাকার পরিকল্পনা রয়েছে।

এই উদ্যোগ হয়তো মাত্র শুরু, কিন্তু বিতষোক, কাসপার, নাবিল কিংবা তানিমদের জন্য এটা স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার এক নতুন দিগন্ত।

তানিম বলেন, “আমি জাতীয় দলকে বড় হতে দেখেছি, বিশেষ করে হামজা চৌধুরী আসার পর। আমিও সেই পরিবর্তনের অংশ হতে চাই।”

এটি কোনো সমাপ্তি নয়, এটি কেবল শুরু। ভবিষ্যতের জন্য বিশ্বাসই এখন মূল শক্তি।

RELATED NEWS

Latest News