ভারতের বিপক্ষে লিডসে প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের ঐতিহাসিক জয়ের নায়ক বেন ডাকেট মনে করছেন, তার সাফল্যের মূল চাবিকাঠি হলো মানসিকতা পরিবর্তন।
৩৭১ রানের বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে ডাকেটের ১৪৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে পাঁচ উইকেটে জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড। সিরিজের প্রথম ম্যাচেই এগিয়ে গেল বেন স্টোকসের দল।
৩০ বছর বয়সী ডাকেট ২০২২ সালের ডিসেম্বরে টেস্ট দলে ফেরার পর থেকে ৩০টি ম্যাচে ৪৭.৩৭ গড়ে করেছেন ২৫১১ রান। স্ট্রাইক রেট ৮৮.০৭।
তাঁর এই ধারাবাহিক পারফরম্যান্সকে ‘বিশ্বের সেরা মাল্টি-ফরম্যাট ব্যাটার’ আখ্যা দিয়েছেন সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক নাসের হুসেইন।
ডাকেট বলেন, “গত কয়েক বছরের তুলনায় এখন আমার মানসিকতা অনেক বদলে গেছে। টেস্ট ম্যাচ বেশি খেলার অভিজ্ঞতা, ভুল থেকে শেখা—এসবই সহায়তা করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “ব্যর্থতাই আসলে সবচেয়ে বড় শিক্ষক। ভালো করলেই শেখা যায় না, খারাপ করলেই শেখা হয়।”
ডাকেটের ব্যাটিংয়ের আরেকটি বড় দিক ছিল ভারতীয় পেসার জসপ্রিত বুমরাহকে ঠেকানো। বিশ্বসেরা এই পেসার দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেটশূন্য ছিলেন।
ডাকেট বলেন, “বুমরাহ যে বড় হুমকি, সেটা জানা ছিল। যখন বল করছিলেন, তখন চেষ্টা করছিলাম ধৈর্য ধরতে। বড় শট না খেলেও কাজ চলে।”
তিনি যোগ করেন, “এটা বুঝতে পেরেছি যে, কখন ইগো দূরে সরিয়ে রাখতে হয়। ওর স্পেল পার করতে পারলেই পরে খেলা সহজ হয়ে যায়।”
ডাকেটের সঙ্গী ওপেনার জাক ক্রলি করেছিলেন ৬৫ রান। দুজনের ওপেনিং জুটিতে আসে ১৮৮ রান, যা জয়ের ভিত গড়ে দেয়।
সিরিজ শুরুর আগে ক্রলির দলে থাকা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল। তবে একমাত্র টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরির পর লিডসেও তার ব্যাট কথা বলেছে।
ক্রলি বলেন, “শীতকালীন সফরে নিজের খেলা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট ছিলাম না। এখন অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী।”
“আমার দলে থাকা নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট কোনো মন্তব্য করেনি, তবে নিজের খেলাটা উন্নত করতে পেরেছি,” যোগ করেন ক্রলি।
পরবর্তী টেস্ট হবে এজবাস্টনে। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা ইংল্যান্ড চাইবে এই ছন্দ ধরে রাখতে। সিরিজের প্রথম টেস্টে ব্যাটিংয়ের দিক দিয়ে ডাকেট ও ক্রলির জুটি নিঃসন্দেহে দিয়েছে বড় আত্মবিশ্বাস।