চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় কমপক্ষে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও নয়জন নিখোঁজ রয়েছেন। বন্যায় রাজধানীর প্রান্তিক এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বেইজিং শহরের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা শিয়া লিনমাও বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, “২৩ থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত বেইজিংয়ে অতিবৃষ্টি হয়েছিল, যার ফলে গুরুতর প্রাণহানি এবং ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।”
মৃতদের মধ্যে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে উত্তর-পূর্বের তায়শিতুন এলাকার একটি প্রবীণ নিবাসে। নিখোঁজদের মধ্যে বেঁচে থাকার জন্য তল্লাশি ও উদ্ধারকার্যের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, “শহর ও পার্টি কমিটির পক্ষ থেকে আমরা নিহতদের জন্য গভীর শোক ও তাদের পরিবারদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।” তিনি অপ্রস্তুতির বিষয়েও স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেন, “আমাদের প্রাক্কলন ও সতর্কতার ক্ষমতা অপর্যাপ্ত ছিল এবং পাহাড়ি এলাকায় অবকাঠামোর নির্মাণে ঘাটতি রয়েছে।”
বেইজিংয়ের মিউয়ুন জেলা পার্টি প্রধান ইউ ওয়েইগু আরও বলেন, “আমাদের তীব্র আবহাওয়ার বিষয়ক জ্ঞান ছিল সীমিত। এই শোকজনক ঘটনাটি আমাদের সতর্ক করেছে যে মানুষের জীবন রক্ষা সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেতে হবে।”
চীনে বর্ষাকালে সাধারণত বন্যা, ভারী বৃষ্টি এবং গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণকারী হলেও নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে বড় অগ্রগামী এবং ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্য করার লক্ষ্য নিয়েছে।
এই বন্যা ও দুর্যোগ থেকে শিক্ষা নিয়ে বেইজিং কর্তৃপক্ষ পরবর্তী প্রস্তুতি ও বন্যা প্রতিরোধে আরও ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।