বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট (বিসিসিটিকে) একটি দক্ষ, স্বনির্ভর এবং ভবিষ্যৎ উপযোগী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের লক্ষ্যে ১০ বছর মেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সোমবার রাজধানীর মহাখালীতে বিসিসিটির কার্যালয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি জানান, ২০১০ সালের জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট আইন সংশোধন এবং পরিচালনামূলক নির্দেশিকাগুলো সময়োপযোগী করে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বিসিসিটির জন্য স্থায়ী কার্যালয় নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, “সরকারি জায়গা বরাদ্দ পাওয়া গেলে স্থায়ী ভবন নির্মাণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এতে প্রতিষ্ঠানের স্থায়িত্ব ও কার্যকারিতা বাড়বে।”
ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণা প্রকল্পগুলোর জন্য পেটেন্ট অধিকার সংরক্ষণেও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বাস্তবসম্মত ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম চালু করা হবে বলেও সভায় উল্লেখ করা হয়।
মানবসম্পদ উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, “বিসিসিটি কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আধুনিক প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি সবাইকে দেশের জনগণের কল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, বিসিসিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী মো. ওয়ালিউল হক এবং উপসচিব শেখ মোনিরুজ্জামানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিসিসিটিকে একটি আধুনিক, গবেষণাভিত্তিক ও ফলপ্রসূ প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করার এই উদ্যোগ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।