বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড দেশের ক্রিকেটে স্বচ্ছতা ও অখণ্ডতা জোরদারে একটি স্বাধীন সংস্থা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ইন্টিগ্রিটি ইউনিট BCBIU গঠন করেছে। মঙ্গলবার এক সরকারি বিবৃতিতে বিসিবি জানায়, ইউনিটটি একজন স্বাধীন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে পরিচালিত হবে। খেলোয়াড়, কর্মকর্তা ও সমর্থকদের সুরক্ষায় নীতিনির্ভর সংস্কার বাস্তবায়নে বোর্ডের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। ইউনিটের কার্যক্রম বিষয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী অফিসিয়াল চ্যানেলে হালনাগাদ তথ্য জানানো হবে।
এদিকে বিপিএলে অখণ্ডতা ইস্যু ও অভিযোগিত দুর্নীতির তদন্তে গঠিত বিসিবির স্বতন্ত্র অনুসন্ধান কমিটি তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের কাছে মঙ্গলবার জমা দিয়েছে। বিচারপতি মির্জা হুসেইন হায়দার, শাকিল কাশেম ও ড. খালেদ এইচ. চৌধুরীকে নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের প্যানেলটি বিসিবি অ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে সহায়তা করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল।
বিপিএল ২০২৪ ২৫ মৌসুম অর্থাৎ একাদশ আসর ঘিরে তৈরি এই প্রতিবেদনটি প্রায় ৯০০ পৃষ্ঠার। এতে অভিযোগিত অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনাগুলো প্রমাণভিত্তিকভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং অপারেশনাল ঘাটতির বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি সংস্কারের একটি সমন্বিত রোডম্যাপ প্রস্তাব করা হয়েছে, যাতে আইনগত সংশোধনী, প্রাতিষ্ঠানিক পুনর্বিন্যাস, ফ্র্যাঞ্চাইজি কমপ্লায়েন্স জোরদার, খেলোয়াড় নিরাপত্তা বৃদ্ধি, ঝুঁকি পর্যবেক্ষণ উন্নয়ন এবং জনসংযোগ কাঠামো শক্তিশালী করার সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত আছে।
চলমান ও সম্ভাব্য তদন্তের অখণ্ডতা রক্ষায় নির্দিষ্ট অভিযোগ বা প্রতিবেদনের বিস্তারিত বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছে বিসিবি। বোর্ড জানায়, কমিটির সুপারিশগুলো সতর্কভাবে পর্যালোচনা করা হবে এবং প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ে আরও অনুসন্ধান চালানো হবে। প্রয়োজন হলে আইসিসি অ্যান্টি করাপশন কোডের আওতায় আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গেও সমন্বয় করা হবে।
বিসিবি জানায়, ইন্টিগ্রিটি ইউনিটের প্রতিষ্ঠা ও অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ক্রিকেটের শাসনব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা এবং স্টেকহোল্ডারদের আস্থা বৃদ্ধি করাই তাদের লক্ষ্য।
