Friday, September 26, 2025
Homeখেলাধুলাক্রিকেটবিসিবি নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা, ভোটার তালিকা প্রকাশে দেরি

বিসিবি নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা, ভোটার তালিকা প্রকাশে দেরি

সময়সূচি পেছাতে পারে, রাতে দীর্ঘ বৈঠকেও সমাধান মেলেনি

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বিদায়ী পরিচালকরা আসন্ন নির্বাচনের আগে মঙ্গলবার রাতে শেষ বোর্ড সভা করেন। তবে বহুল প্রত্যাশিত খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। এই বিলম্বে ৬ অক্টোবর নির্ধারিত নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

সরকারি সময়সূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার বিকেল ৬টার মধ্যে কাউন্সিলর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল। একই দিনে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বোর্ড সভা এবং রাত ৭টার মধ্যে খসড়া তালিকা প্রকাশের কথা ছিল। কিন্তু প্রস্তুতি অসম্পূর্ণ থাকায় সভা রাত ৯টায় শুরু হয় এবং প্রায় রাত ১১টার দিকে শেষ হলেও তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।

বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু সভা শেষে সাংবাদিকদের জানান, খসড়া তালিকা এখন নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো হবে এবং এর ফলে নির্বাচন সময়সূচিতে পরিবর্তন আসতে পারে।

আইনজীবীর সার্টিফিকেট পেতে সময় লাগায় বৈঠক বিলম্বিত হয় বলে জানান বিসিবির আইন উপদেষ্টা মাহিন এম রহমান। তিনি বলেন, পুরো বিষয়টি বোঝার পরেই বোর্ড বৈঠক শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়।

নির্ধারিত সময় বিকেল ৬টার পরেও মনোনয়ন জমা নেওয়া হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে মিঠু জানান, দেরিতে জমা পড়া কাগজপত্রে সময় উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সেগুলো বৈধ হবে কি না সে বিষয়ে কিছু বলেননি।

সভায় বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল অসুস্থ থাকায় উপস্থিত ছিলেন না। ফলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর অনিশ্চিত থেকে যায়। মিঠু জানান, কিছু সংবেদনশীল বিষয়ে সভাপতির বক্তব্য প্রয়োজন।

এর আগের দিন হাইকোর্ট একটি রিট আবেদনের পর ১৫ দিনের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়েছিল বিসিবি সভাপতির যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠির ওপর। ওই চিঠিতে কয়েকটি জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা থেকে গঠিত অ্যাড-হক কমিটির কাউন্সিলর মনোনয়ন না আসার বিষয় উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে রাতে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে চিঠির কার্যকারিতা বহাল রাখে এবং মনোনয়ন প্রক্রিয়া চালু রাখার সুযোগ তৈরি হয়।

এ ছাড়া বৈঠকে বিসিবি আরও কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়। আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়। পরবর্তী তিন আসরে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইএমজি দায়িত্ব পালন করবে। বোর্ডের হিসাবে ব্যাংকে ১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা জমা থাকবে এবং ৪০ কোটি টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে। এছাড়া ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে খেলাপি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাদের অধিকাংশ বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি।

  • বিষয়াদি সম্পর্কে আরও পড়ুন:
  • বিসিবি

RELATED NEWS

Latest News