Friday, June 27, 2025
Homeখেলাধুলাবাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদার ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন করল বিসিবি

বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদার ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন করল বিসিবি

প্রথম টেস্ট দলের ক্রিকেটারদের সম্মাননা ও স্মৃতিচারণে মুখর ছিল শেরেবাংলা স্টেডিয়াম

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ২০০০ সালে প্রাপ্ত টেস্ট মর্যাদার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বৃহস্পতিবার শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রথম টেস্ট দলের সদস্যরা, অন্যান্য ক্রিকেট তারকা এবং সংগঠকরা।

অনুষ্ঠানটি শুধুমাত্র একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং এটি ছিল এক পুনর্মিলনী। বহু বছর পর একে অপরের সঙ্গে দেখা করে আনন্দ ভাগাভাগি করেন খেলোয়াড়েরা।

আলো ছড়িয়েছে সেই প্রথম টেস্টের নায়কদের ঘিরেই। শত শত সাংবাদিকের ক্যামেরার ঝলকে মুখর ছিল অনুষ্ঠানস্থল।

গত ২৫ বছরে বাংলাদেশ ১৫৪টি টেস্ট খেলে মাত্র ২৩টিতে জয় পেয়েছে। যদিও এই পারফরম্যান্সকে অনেকেই আশানুরূপ মনে না করলেও, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, “প্রথম ২৫ বছরের পারফরম্যান্স বিবেচনায় বাংলাদেশ চতুর্থ স্থানে রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা আশা করছি আগামী দিনে বাংলাদেশ আরও শক্তিশালী হবে।”

অনুষ্ঠানে বিসিবি সভাপতি ও প্রথম টেস্ট দলের শতককারী আমিনুল ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ প্রত্যেক খেলোয়াড়কে একটি বিশেষ ব্লেজার পরিয়ে দেন। পাশাপাশি একটি বিশেষ জার্সিতে খেলোয়াড়দের স্বাক্ষর নেওয়া হয়।

প্রথম টেস্টের ওপেনার মেহরাব হোসেন একটি মজার স্মৃতি শেয়ার করেন। তিনি বলেন, “প্র্যাকটিসের সময় আমাদের একটি নির্দিষ্ট টি-শার্ট পরে বাসে উঠতে হতো, না হলে ৫০০ টাকা জরিমানা। আমি আমার টি-শার্ট দিয়ে দিয়েছিলাম। তাই কোচের এক্সএক্সএল টি-শার্টে এক্সএল লিখে সেটাই পরে নিই।” এ কথা শুনে পুরো দর্শকদল হাসিতে ফেটে পড়ে।

সেই টেস্ট দলের কোচ সরোয়ার ইমরানও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “আমি আজও মনে রেখেছি বাশার, দুর্জয় আর বুলবুলের পারফরম্যান্স।”

২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে হাবিবুল বাশার করেছিলেন অর্ধশতক, নাইমুর দুর্জয় নিয়েছিলেন ছয় উইকেট এবং আমিনুল ইসলাম বুলবুল করেছিলেন ঐতিহাসিক শতক।

প্রথম ইনিংসে ৪০০ রান করা সত্ত্বেও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যর্থতার জন্য অভিজ্ঞতার অভাবকেই দায়ী করেন কোচ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শাহরিয়ার হোসেন, মোহাম্মদ রফিক এবং হাসিবুল হোসেন। তবে প্রথম টেস্টের অধিনায়ক নাইমুর রহমান, আকরাম খান ও খালেদ মাসুদের মতো কয়েকজন সদস্য উপস্থিত থাকতে পারেননি।

অনুষ্ঠানে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম জানান, ঘরোয়া ক্রিকেটকে শক্তিশালী করতে আঞ্চলিক ক্রিকেট বোর্ড গঠন এবং শিকড় থেকে প্রতিভা তুলে আনার লক্ষ্যে বিসিবি পরিকল্পনা করছে।

ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঘোষণা করেন, দেশের ১০০টি স্কুলে সিনথেটিক পিচ স্থাপন করা হবে যাতে শিক্ষার্থীরা উন্নত পরিবেশে ক্রিকেট চর্চা করতে পারে।

এই অনুষ্ঠানে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন ছিল টেস্ট খেলোয়াড়দের নাম সংবলিত ‘অনার্স বোর্ড’-এর উদ্বোধন। এটি বাংলাদেশের টিম ড্রেসিংরুমের পাশে স্থাপন করা হয়েছে।

RELATED NEWS

Latest News