ক্লাব বিশ্বকাপের রোমাঞ্চকর এক ম্যাচে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোকে ৪-২ গোলে হারিয়ে জয় পেল জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ। ম্যাচে দুইবার এগিয়ে গিয়েও চাপে পড়ে যাওয়া বায়ার্ন শেষ পর্যন্ত জয় নিশ্চিত করে। ম্যাচ শেষে দলের আক্রমণাত্মক খেলার প্রশংসায় মুখর ছিলেন কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানি।
ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক অধিনায়ক কোম্পানি বলেন, “আমরা পুরো ম্যাচ জুড়েই বিপজ্জনক ছিলাম। বল দখলে থাকুক বা না থাকুক, আমাদের দল সব সময়ই গোল করার সম্ভাবনা রেখেছে।”
ম্যাচের বিভিন্ন সময়ে চাপ এলেও দল ধৈর্য হারায়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি। “আমরা সঠিক সময়ে গোল করেছি, যাতে চাপ কিছুটা কমে। এমন ম্যাচে প্রতিপক্ষ সমর্থকরাও বড় ফ্যাক্টর হয়ে যায়,” বলেন কোম্পানি।
তিনি আরও যোগ করেন, “প্রতিপক্ষ যদি কিছু সময়ের জন্য গতি পায়, তখনও নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়াটাই সবচেয়ে কঠিন। এটা শেখানো যায় না। এমন পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়দেরই দায়িত্ব নিতে হয়।”
অন্যদিকে ফ্ল্যামেঙ্গোর কোচ ফিলিপে লুইস স্বীকার করেন, বায়ার্নের চাপের মুখে তারা অনেক সময় দিশেহারা হয়ে পড়েন। “তারা আট থেকে দশ জন নিয়ে একযোগে আক্রমণে আসে। এমন চাপের বিরুদ্ধে টিকে থাকা কঠিন। তবুও আমরা পরিকল্পনামাফিক খেলেছি এবং সুযোগ তৈরি করেছি,” বলেন তিনি।
দক্ষিণ আমেরিকার দলগুলোর সঙ্গে ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোর ব্যবধান নিয়ে প্রশ্নের জবাবে লুইস বলেন, “যদি ভিনিসিয়ুস জুনিয়র রিয়াল মাদ্রিদে না যেত, তাহলে আমরা বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়কে পেতাম। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সেরা খেলোয়াড়েরা ইউরোপেই যায়।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের দলে অনেক ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড় আছে, কিন্তু ইউরোপের দলগুলোর কাছে সেরা ব্রাজিলিয়ানরাই খেলছে। এটা মানতেই হবে।”
এই জয়ের মাধ্যমে ক্লাব বিশ্বকাপে নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করলো বায়ার্ন মিউনিখ, যেখানে প্রতিটি ম্যাচই ইউরোপ-দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিফলন।