ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেখেরহাট ইউনিয়নের গুয়াটন গ্রামে বাবুই পাখির বাসা ও ছানা ধ্বংসের ঘটনায় ৭০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মোবারক আলী ফকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানা গেছে, বন বিভাগের মামলার পর পুলিশ সোমবার তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
বন বিভাগ ঝালকাঠির চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
এছাড়া, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য সংশ্লিষ্ট থানায় পৃথক আরেকটি মামলাও দায়ের করেছেন।
ঘটনাটি ঘটে ২৭ জুন। সরকারি খাসজমিতে রাস্তার পাশে দাঁড়ানো একটি তালগাছ কাটা হয়। গাছে বাবুই পাখির অসংখ্য বাসা, ডিম ও ছানা থাকায় স্থানীয়রা গাছ না কাটার অনুরোধ জানালেও তা উপেক্ষা করে দুর্বৃত্তরা গাছটি কেটে ফেলে।
ফলে ৪৭টি বাবুই বাসা, ৯৬টি ছানা এবং ২৪টি ডিম সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায় বলে জানান বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
পরিবেশ সংরক্ষণে বন বিভাগ ওই স্থানে নতুন তালগাছ রোপণ করেছে এবং স্থানীয় জনগণের মাঝে বন্যপ্রাণী রক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কর্মসূচি শুরু করেছে।
পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, “বন্যপ্রাণী ও তাদের আবাসস্থল ধ্বংসের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের কর্মকাণ্ড প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করে। সরকার পরিবেশ সংরক্ষণে কাউকে ছাড় দেবে না।”
এই ঘটনা বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তাকে আরও একবার সামনে নিয়ে এসেছে।