২৭ বছর ধরে আইসিসি ট্রফির স্বাদ পায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটাতে তারা এখন একেবারে ইতিহাসের দ্বারপ্রান্তে।
লর্ডসে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ২১৩ রানে ২ উইকেট। জয়ের জন্য তাদের দরকার আর মাত্র ৬৯ রান।
প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়া এইডেন মারক্রাম এবার দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন ১০২ রানে। ইনজুরি সত্ত্বেও অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ৬৫ রানে অপরাজিত থেকে দলের আশা টিকিয়ে রেখেছেন।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড যদি হয়, তবে এটিই হবে লর্ডসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সফল রান তাড়া। এর আগে ১৯৮৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৪৪ রান তাড়া করে জিতেছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকা যদিও অতীতে বড় ম্যাচে চাপ সামলাতে ব্যর্থ হয়েছে, এবার তাদের সমর্থকরা নতুন আশায় বুক বাঁধছেন।
এর আগে শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক দুর্দান্ত অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখান। ব্যাট হাতে অপরাজিত ৫৮ রান করেন। এরপর বোলিংয়ে রায়ান রিকেলটন (৬) ও ওয়িয়ান মুলডার (২৭) কে আউট করে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে দেন।
তবে পরে স্টিভ স্মিথ একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ ফেলে দিলে ম্যাচের মোড় ঘুরতে শুরু করে। ফলে সুবিধাজনক অবস্থানে চলে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ব্যাটিং সহজ হয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে মারক্রাম শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলেন। প্যাট কামিন্সকে চার মেরে শুরু করেন। আর বাভুমা মাঝেমধ্যে দারুণ সব শট খেলেন, যার মধ্যে কামিন্সের বলে একটি চোখধাঁধানো ড্রাইভ ছিল অন্যতম।
স্পিনার নেথান লায়ন বেশ কয়েকবার দুই ব্যাটসম্যানকেই বিপদে ফেলেন। তবে কোনোটিই উইকেট হিসেবে ধরা পড়েনি।
ইতিহাস গড়ার পথে এগিয়ে যাওয়া এই ইনিংসে বাভুমা ৮৩ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ করেন। অন্যদিকে মারক্রাম জশ হ্যাজলউডের বলে চার মেরে ৯৭ তে পৌঁছান এবং পরে মিড উইকেট দিয়ে চার মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। এটি তার ক্যারিয়ারের অষ্টম টেস্ট শতক।
এর আগে দিনের শুরুতে কাগিসো রাবাদা অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে দ্রুত সাফল্য এনে দেন। নেথান লায়নকে এলবিডব্লিউ করেন এবং শেষদিকে স্টার্কের সঙ্গে হ্যাজলউড ৫৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন।
অবশেষে পার্ট-টাইম স্পিনার মারক্রাম হ্যাজলউডকে আউট করে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস ২০৭ রানে থামান। রাবাদা ম্যাচে মোট ৯ উইকেট নেন।
এখন অপেক্ষা, দক্ষিণ আফ্রিকা আগামী দিনে এই লক্ষ্য পূরণ করে ২৭ বছরের শিরোপা-আক্ষেপ ঘুচাতে পারে কি না।