স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের স্ট্রাইকার মার্কাস রাশফোর্ডকে ২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ধারে দলে ভেড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। বুধবার ক্লাবটি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
চুক্তিতে উল্লেখ আছে, নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে রাশফোর্ডকে স্থায়ীভাবে কিনে নেওয়ার সুযোগও থাকবে বার্সার কাছে।
স্প্যানিশ গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বার্সেলোনা রাশফোর্ডের সাপ্তাহিক ৩ লাখ ২৫ হাজার পাউন্ড বেতনের প্রায় ৭৫ শতাংশ পরিশোধ করবে। বাকি অংশ রাশফোর্ড নিজেই ছাড় দিয়েছেন।
২৭ বছর বয়সী এই ইংল্যান্ড জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড গত মৌসুমের শেষ ভাগে অ্যাস্টন ভিলায় ধারে খেলেন। সেখানে ১৭ ম্যাচে করেন চারটি গোল। এরপর একটি হ্যামস্ট্রিং চোটের কারণে মৌসুমের বাকিটা সময় মাঠের বাইরে থাকতে হয় তাকে।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ রুবেন আমোরিমের অধীনে তেমন সুযোগ না পাওয়া এবং তার প্রতিশ্রুতি ও নিবেদন নিয়ে প্রকাশ্যে সন্দেহ প্রকাশের পর রাশফোর্ড ক্রমেই মূল একাদশ থেকে ছিটকে পড়েন।
বার্সেলোনার কোচ হান্সি ফ্লিক এর আগে বলেছিলেন, রাশফোর্ড ও লিভারপুলের লুইস দিয়াজ দুজনই অসাধারণ খেলোয়াড়। বার্সা মূলত বাম পাশে বিকল্প খুঁজছিল, কারণ তাদের আক্রমণভাগে রাফিনিয়া ও লামিন ইয়ামাল ছাড়া গত মৌসুমে পর্যাপ্ত বিকল্প ছিল না।
এছাড়া অভিজ্ঞ পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডোভস্কির পরিবর্তে মাঠে নামানোর জন্যও রাশফোর্ড হতে পারেন আদর্শ বিকল্প।
বার্সেলোনা মূলত অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের উইঙ্গার নিকো উইলিয়ামসকে নিতে চেয়েছিল, কিন্তু তিনি নতুন চুক্তিতে সান মামেসে থেকে যান। ফলে রাশফোর্ডের দিকেই ঝুঁকে ক্লাবটি।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ২০১৫ সালে অভিষেকের পর রাশফোর্ড ক্লাবটির হয়ে ৪২৬ ম্যাচে ১৩৮টি গোল করেছেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ক্লাবে নিজের জায়গা হারানো এবং বার্সেলোনায় যাওয়ার আগ্রহের কারণে কিছু সাবেক খেলোয়াড়ের সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে তাকে।
বার্সেলোনার পক্ষে ব্রিটিশ ফুটবলারদের খেলার ইতিহাস খুব একটা সমৃদ্ধ নয়। ১৯৮০ দশকে গ্যারি লিনেকার, স্টিভ আর্চিবল্ড ও মার্ক হিউজ খেলেছিলেন কাতালান ক্লাবে। এর বাইরে খুব কম সংখ্যক ইংলিশ খেলোয়াড় বার্সায় নাম লেখান।
বার্সেলোনার আর্থিক বিধিনিষেধ ও রেজিস্ট্রেশন সমস্যার মধ্যেও এই চুক্তি সম্পন্ন হওয়ায় সমর্থকরা আশা করছেন, রাশফোর্ড দলের আক্রমণভাগে নতুন মাত্রা যোগ করবেন।
তবে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলে নিবন্ধনের জন্য কিছু আর্থিক সমন্বয় করতে হতে পারে বার্সেলোনাকে, যেমনটা গত মৌসুমে দানি ওলমোসহ কয়েকজন খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে করতে হয়েছিল।
রাশফোর্ডের যোগদান বার্সার সামার ট্রান্সফারের প্রথম বড় চমক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।