মিরপুরের শেরে-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ম্যাচ শুরু হবে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম ম্যাচে ৭৪ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে রয়েছে স্বাগতিকরা। মাত্র ২০৭ রান করেও জয়ের নায়ক ছিলেন স্পিনাররা। ৮৮.৪ ওভারের মধ্যে ৬২ ওভারই বোলিং করেছিলেন স্পিনাররা। রিশাদ হোসেন একাই নিয়েছিলেন ৬ উইকেট ৩৫ রানে।
এমন পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় ম্যাচেও স্পিনারদের ভূমিকা হবে নির্ধারক। এ কারণে বাংলাদেশ দলে যুক্ত করা হয়েছে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে।
অন্যদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজও তাদের স্পিন আক্রমণ আরও শক্তিশালী করছে। প্রথম ম্যাচে তিন স্পিনার—গুডাকেশ মোতি, খারি পিয়েরে ও রস্টন চেজ—নিয়ে নামলেও, এবার যুক্ত হয়েছেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেন। তিনি রবিবার রাতে ঢাকায় দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
এছাড়া প্রথমবারের মতো ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়েছেন বাঁহাতি পেসার রেমন সিমন্ডস। বিপরীতে, ফাস্ট বোলার জেদাইয়া ব্লেডস ও শামার জোসেফ ফিরছেন ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে।
বাংলাদেশের স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদ বলেন, “এমন উইকেটে স্পিনাররা অনেক সময় অতিরিক্ত উত্তেজিত হয়ে যায়। কিন্তু প্রক্রিয়া না মানলে সাফল্য আসে না। ভালো বল নয়, ভালো ওভারই উইকেট এনে দেয়।”
তিনি আরও বলেন, “টার্নিং উইকেটে মেইডেন ওভার করাটাই মূল। প্রক্রিয়া মনে রাখলে উইকেট আসবেই।”
কালো মাটির মিরপুরের উইকেটে প্রথম ম্যাচে দুই দলের ব্যাটাররাই রান তুলতে হিমশিম খেয়েছিলেন। ৫১ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর ব্যাট হাতে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাটাররা পরিকল্পনা করেই সময় নিয়ে রান তুলেছিলেন।
দ্বিতীয় ম্যাচে দুদলই আগের ভুল সংশোধনে মনোযোগী। বাংলাদেশ নজর দিচ্ছে স্ট্রাইক রোটেশনে, কারণ প্রথম ম্যাচে ১৮৩টি ডট বল খেলেছিল তারা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটার খারি পিয়েরে বলেন, “আমাদের দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কঠিন, কিন্তু মানিয়ে নেওয়াই একমাত্র পথ। আমাদের দলে অনেক ভালো ব্যাটার আছে, এখন দরকার কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো।”
সিরিজে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ মঙ্গলবারই পেতে পারে প্রায় দেড় বছরের মধ্যে প্রথম দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ জয়ের সুযোগ।