এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলই ইতোমধ্যে বিদায় নিয়েছে। তবুও মঙ্গলবার ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ম্যাচটি কেবল পয়েন্টের চেয়েও অনেক বেশি কিছু নিয়ে হাজির হয়েছে। দক্ষিণ এশীয় ফুটবলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা, জাতীয় গৌরব এবং ভালোভাবে আসর শেষ করার আকাঙ্ক্ষা—এই সবকিছু মিলিয়ে সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম প্রতীক্ষিত এক ম্যাচে পরিণত হয়েছে এটি।
সাত বছর পর বাংলাদেশে খেলতে এসেছে ভারতীয় ফুটবল দল। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী উইঙ্গার রায়ান উইলিয়ামসকে নিয়ে শনিবার ঢাকায় পা রাখে ‘ব্লু টাইগার্স’রা। রবিবার উত্তরার এপিবিএন মাঠে তারা প্রথম রুদ্ধদ্বার অনুশীলন সেশন সম্পন্ন করেছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ দলও সমানভাবে উজ্জীবিত। মিডফিল্ডার শমিত সোম শনিবার বলেন, “বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ মানেই এক বিশাল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এই ম্যাচের জন্য বাড়তি কোনো অনুপ্রেরণার প্রয়োজন হয় না। আমি যখন বাংলাদেশে খেলার জন্য চুক্তি করি, হোটেলে প্রথম কথাই শুনেছি ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হতে।”
ভারতের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়েরাও এই চ্যালেঞ্জের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিং সান্ধু বলেন, “এটা সবসময়ই একটি তীব্র লড়াইয়ের ম্যাচ। ম্যাচটি হয়তো এলোমেলো হবে, কঠিন হবে, কিন্তু আমাদের মানসিকভাবে ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।” ডিফেন্ডার সন্দেশ ঝিঙ্গান যোগ করেন, “আমরা যদি নিজেদের সিস্টেমে অটল থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারি, ফল আসবেই।”
উভয় খেলোয়াড়েরই অতীতে যুব বা ক্লাব পর্যায়ে বাংলাদেশে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং এখানকার দর্শকদের উন্মাদনার কথাও স্মরণ করেন তারা। সান্ধুর মতে, “এখানে খেলা কখনোই সহজ ছিল না। বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে এবং ফুটবলের প্রতি তাদের ভালোবাসা কেবল বেড়েই চলেছে।”
বাংলাদেশ দল রবিবার দুই বেলা অনুশীলন করেছে এবং সোমবার জাতীয় স্টেডিয়ামে তাদের চূড়ান্ত অনুশীলন পর্ব সারবে। পয়েন্টের গুরুত্ব না থাকলেও ইতিহাস, গৌরব আর আঞ্চলিক শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে এক জমজমাট ম্যাচের অপেক্ষায় এখন ঢাকার মাঠ।
