বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক শুল্ক চুক্তি (Reciprocal Tariff Agreement) চূড়ান্তকরণে চলমান আলোচনা আরও একধাপ এগিয়েছে। বৃহস্পতিবার উভয় দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে সর্বশেষ পর্বের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে আলোচনায় নেতৃত্ব দেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ইউএস অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ ব্রেন্ডন লিঞ্চ।
আলোচনার পর ড. খলিলুর রহমান বলেন, “আমরা খুবই গঠনমূলক আলোচনা করেছি। উভয় পক্ষই আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে যেন এই চুক্তিটি দ্রুত চূড়ান্ত করা যায়।”
ড. খলিলুর রহমান, যিনি এর আগে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলনের (UNCTAD) বাণিজ্য নীতি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, আরও জানান যে, দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্য সুবিধা ও সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে এ চুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উল্লেখ্য, পারস্পরিক শুল্ক চুক্তির মাধ্যমে উভয় দেশ একে অপরের পণ্যে নির্দিষ্ট হারে শুল্ক আরোপ ও সুবিধা প্রদান করবে। এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশি পণ্যের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার আরও সহজ হতে পারে, যা রপ্তানিকারকদের জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরণের চুক্তি দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য ও অর্থনীতির জন্য একটি বড় সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে।
চলমান আলোচনার ভিত্তিতে আশাবাদ ব্যক্ত করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই উভয় দেশ একটি চূড়ান্ত খসড়ার ওপর সম্মত হবে এবং আনুষ্ঠানিক চুক্তিতে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।