রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের কার্যকর পথ খুঁজে বের করার জন্য জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থাকে (ইউএনএইচসিআর) আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন বৃহস্পতিবার নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি আইভো ফ্রেইসেনের সঙ্গে বৈঠকে এই আহ্বান জানান। এ সময় তিনি কেবল যৌথ প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা (জেআরপি) ২০২৫–২৬-এর জন্য সমর্থন বাড়ানো নয়, বরং প্রত্যাবাসনের বাস্তবসম্মত পথ অনুসন্ধানে গুরুত্বারোপ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা, জেআরপি বাস্তবায়ন এবং দীর্ঘমেয়াদি সমাধান নিয়ে দুই পক্ষ আলোচনা করে। বর্তমানে বাংলাদেশে মিয়ানমারের ১৩ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।
বৈঠক শেষে ফ্রেইসেন বলেন, “বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধিত্ব করা আমার জন্য গর্বের। দীর্ঘদিন ধরে এই দেশ উদারভাবে আশ্রয় দিয়েছে। মানবিক ও উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে কাজ করে আমরা টেকসই সমাধান খুঁজতে চাই।”
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ফ্রেইসেনের সফল মেয়াদ কামনা করেন। নতুন প্রতিনিধি পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়ামের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। সেখানে আগামী নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে ইউএনএইচসিআরের সক্রিয় ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। উভয় পক্ষ সম্মেলনকে আন্তর্জাতিক মনোযোগ ও পদক্ষেপ জোরদারের গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হিসেবে আখ্যা দেয়।
ফ্রেইসেন এর আগে লেবানন (২০২৩-২০২৫) ও ইরানে (২০১৮-২০২২) ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার তিন দশকের মানবিক কর্মজীবনে ইরাক, সুদান, মিসর ও সুইজারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা ও নির্যাতনের কারণে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। বর্তমানে তারা নিরাপদ প্রত্যাবাসনের অপেক্ষায় আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে। ইউএনএইচসিআর ও বাংলাদেশ সরকার একসঙ্গে তাদের সহায়তা দিয়ে আসছে।