বাংলাদেশ জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা (UNCTAD) এর ১৬তম অধিবেশনে উন্নয়ন ও ঋণসংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আন্তর্জাতিক আর্থিক কাঠামো সংস্কারের গুরুত্ব তুলে ধরেছে।
২৩ অক্টোবর ২০২৫, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় Palais des Nations-এ জিএনইভা কনসেনসাস গ্রহণের মধ্য দিয়ে UNCTAD16 শেষ হয়। সুইজারল্যান্ড ও UNCTAD যৌথভাবে আয়োজিত এই অধিবেশনে বাণিজ্য ও অর্থনীতির মন্ত্রী, আন্তর্জাতিক সংস্থার নেতা, বেসরকারি খাত, নাগরিক সমাজ ও যুব প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
“Shaping the future: Driving economic transformation for equitable, inclusive and sustainable development” প্রতিপাদ্য নিয়ে অধিবেশনটি অনুষ্ঠিত হয়। এর মাধ্যমে বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য একটি আন্তর্জাতিক দিকনির্দেশনা প্রণয়ন করা হয়।
বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন, জেনেভা, শুরু থেকেই G77 & চায়না গ্রুপ এবং LDC গ্রুপের সদস্য হিসেবে Geneva Consensus-এর খসড়া প্রণয়নে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। মিশনের উদ্যোগে দীর্ঘ আলোচনা ও দরকষাকষির পর চূড়ান্তভাবে Consensus-এ স্নাতক LDC-দের প্রয়োজনীয় সমর্থন অব্যাহত রাখার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়।
এতে UNCTAD-কে Graduating Support Programme তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যা LDC-গুলোর মসৃণ পরিবর্তন নিশ্চিত করবে। এছাড়াও প্রযুক্তি স্থানান্তর, উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি, বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ডিজিটাল বিভাজন কমানো এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়েও উল্লেখ রয়েছে।
বাংলাদেশি প্রতিনিধিত্বে ছিলেন:
আব্দুল্লাহ বিন মহাবুব, First Secretary-Political
মাসুদ পারভেজ, First Secretary-Political
সেলিম হোসেন, Counsellor-Commerce
কমার্স সেক্রেটারি মহবুবুর রহমান নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল অধিবেশনে অংশগ্রহণ করে। তিনি সাধারণ বিতর্ক, মন্ত্রীসভা, রাউন্ডটেবল ও প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন এবং UNCTAD মহাপরিচালক রেবেকা গ্রিনস্প্যান ও OHRLLS হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ রাবাব ফাতিমার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট: LDC ও অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর ঋণ ও বিনিয়োগ ঘাটতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহায়তা বাড়ানো এবং বৈশ্বিক উন্নয়নের জন্য আর্থিক কাঠামো পুনর্গঠন করা অপরিহার্য।
