Sunday, June 22, 2025
Homeঅর্থ-বাণিজ্যস্থলবন্দর দিয়ে গার্মেন্টস পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা, সমাধানে সচিব পর্যায়ে বৈঠক চায় বাংলাদেশ

স্থলবন্দর দিয়ে গার্মেন্টস পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা, সমাধানে সচিব পর্যায়ে বৈঠক চায় বাংলাদেশ

ডেইলি প্রতিদিনের বাণী রিপোর্ট
প্রকাশিত:
২১ মে ২০২৫, ০৫:৪৩
বাণিজ্যিক ডেস্ক

ভারতের পক্ষ থেকে স্থলবন্দর দিয়ে গার্মেন্টসসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে সমাধান চেয়ে সচিব পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (২০ মে) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, “আমরা পালটা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছি না। বরং ভারতকে বোঝাব যে, উভয় দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আলোচনার মাধ্যমে সুরাহার পথ খোঁজা উচিত।”

ভারতের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ১৭ মে থেকে গার্মেন্টস পণ্য, সুতা, প্লাস্টিক, কাঠের তৈরি আসবাব ও ফলমূল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে প্রতিদিন বেনাপোল দিয়ে রপ্তানিযোগ্য ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকের মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য আটকা পড়েছে।

এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য সচিব আরও বলেন, “আমরা ইতিমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারত সরকারের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছি। চিঠির উত্তর এলে সচিব পর্যায়ের বৈঠকের সময় নির্ধারণ করা হবে।”

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহণ, পররাষ্ট্র, রাজস্ব বোর্ড, ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রতিনিধিরা। ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ ও ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের নেতারা।

বাণিজ্য সচিব বলেন, “আমরা রিটেলিয়েটরি অ্যাকশন নিচ্ছি না। ব্যবসায়ীরা মতামত দিয়েছেন। আমরা সেটা নীতিনির্ধারকদের জানাব। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দুই দেশের ব্যবসার জন্য ক্ষতিকর।”

বর্তমানে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ১৬টি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি চালু থাকলেও ৮০ শতাংশ বাণিজ্য হয় বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে। যদিও বিকল্প হিসেবে নবসেবা ও কলকাতা বন্দরের কথা বলা হয়েছে, কিন্তু সেগুলোর সঙ্গে সংযোগব্যবস্থা দুর্বল ও ব্যয়বহুল হওয়ায় সেখানকার ব্যবহার বাস্তবসম্মত নয় বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নিষেধাজ্ঞা দীর্ঘমেয়াদে বহাল থাকলে দেশের রপ্তানিকারকরা বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়বেন এবং ভারতীয় ক্রেতারাও পণ্যের ঘাটতিতে ভুগতে পারেন।

সচিব পর্যায়ের বৈঠকের মাধ্যমে দ্রুত একটি সমাধান প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ।

RELATED NEWS

Latest News