ভারতের কাছে পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়ে পাঠানো কূটনৈতিক চিঠির বিষয়ে বাংলাদেশ আবারও বিষয়টি সামনে আনবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “আমরা একটি চিঠি পাঠিয়েছি। প্রয়োজনে আমরা সেটির অনুসরণ করব।”
গত বছরের ডিসেম্বরে ভারতের কাছে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য একটি ‘নোট ভারবাল’ পাঠানো হয়েছিল। সেই চিঠির সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথিপত্রও সংযুক্ত করা হয়। ভারত সেই চিঠি গ্রহণের বিষয়টি স্বীকার করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত প্রত্যর্পণের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
অনুশোচনা রয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, “রিগ্রেট শব্দটা একটু ভারী হয়ে যায়। কার কতটুকু অনুশোচনা আছে, আমি জানি না।”
এদিকে, ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি এবং আগামী বছর মেয়াদোত্তীর্ণ হতে যাওয়া গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এই বিষয়গুলো আলোচনা ও দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। আমরা সে পথেই এগোচ্ছি।”
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার ছয় মাসের কারাদণ্ড
সাম্প্রতিক ঢাকা, বেইজিং ও ইসলামাবাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত একটি অনানুষ্ঠানিক ত্রিপক্ষীয় বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন উঠলে উপদেষ্টা স্পষ্টভাবে বলেন, “এটি কোনো জোট নয়, বরং কিছু সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একে সার্কের বিকল্প হিসেবে দেখা ঠিক নয়।”
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষা এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার বিষয়ে সরকারের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন তৌহিদ হোসেন।
পর্যবেক্ষকদের মতে, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ ইস্যু এবং তিস্তা চুক্তি কার্যকরের মতো বিষয়গুলো দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। তবে তার জন্য প্রয়োজন হবে কার্যকর আলোচনার এবং পারস্পরিক রাজনৈতিক সদিচ্ছার।