বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাত টেকসই উন্নয়নের পথে এগোচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূত রেটো রেংগলি।
বৃহস্পতিবার সাভারের বাইপাইলে টিম গ্রুপের একটি পোশাক কারখানা ‘৪এ ইয়ার্ন ডাইং’ পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প কর্মপরিবেশ উন্নয়ন, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক মান মেনে চলায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তিনি বলেন, এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
কারখানার বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন রাষ্ট্রদূত রেংগলি। এ সময় তিনি শ্রমিক ও ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাজের পরিবেশ ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কথা বলেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “এই কারখানার পরিবেশ আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি অন্য কোনো দেশে এ ধরনের দৃষ্টান্ত দেখিনি। এটি বাংলাদেশের পোশাক খাতের টেকসই উন্নয়নের উজ্জ্বল উদাহরণ।”
তিনি আরও বলেন, শ্রমিকরা স্বাস্থ্যসম্মত ও সবুজ পরিবেশে কাজ করছে এবং তাদের চিকিৎসা ও অন্যান্য সুবিধার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ দায়িত্বশীল।
রাষ্ট্রদূত জানান, সুইজারল্যান্ড এই কারখানার তৈরি পোশাক আমদানি করে, তাই তিনি সরেজমিন পরিদর্শন করতে এসেছেন। অন্য কোনো প্রশ্নের উত্তর তিনি দেননি।
৪এ ইয়ার্ন ডাইং-এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবদুল্লাহ হিল নাকিব সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের পোশাক খাত নিয়ে বিদেশে যে নেতিবাচক প্রচারণা রয়েছে, সেটি দূর করতে রাষ্ট্রদূতের এই সফর গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানান, রাষ্ট্রদূত কাজের পরিবেশ, শ্রমিক সুবিধা ও পণ্যের মান দেখে সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং নিজের অভিজ্ঞতা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
নাকিব মনে করেন, এটি দেশের ব্র্যান্ড ইমেজ উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। রাষ্ট্রদূত প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি তার দেশে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সঠিক চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করবেন।
৪এ ইয়ার্ন ডাইং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (USGBC) এলইইডি (LEED) প্রোগ্রামে প্লাটিনাম সনদপ্রাপ্ত একটি কারখানা। এখানে উচ্চমূল্যের জ্যাকেট তৈরি হয়, যার প্রতিটির দাম রপ্তানি পর্যায়ে প্রায় ১০০ ডলার এবং ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে ৭০০ থেকে ৮০০ ডলারে বিক্রি হয়। এ কারখানা অন্তত ২০টি শীর্ষ বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের জন্য পোশাক উৎপাদন ও সরবরাহ করে।