ঢাকা, ২৬ মে, ২০২৫ (ডেপ্রবা) : বাংলাদেশ বর্তমানে এক যুদ্ধাবস্থার মতো রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই দেশের অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তৈরি হয়েছে চাপ ও অস্থিরতা। এমন এক প্রেক্ষাপটে দেশের ২০টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস।
বৈঠকে তিনি বলেন, “সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য একটি স্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি না হলে রোডম্যাপ ঘোষণা করা সম্ভব নয়। আমি ব্যর্থ হলে নিজেকে অপরাধী ভাবব।”
রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেন, “আপনার দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখতে হবে, মাঝপথে হাল ছেড়ে দিলে জনগণের আস্থা হারাবে সরকার।”
একাধিক দল বিতর্কিত উপদেষ্টাদের অপসারণের দাবি জানিয়েছে। বিশেষ করে এনসিপির দুই উপদেষ্টার ব্যাপারে প্রশ্ন তোলেন কিছু নেতা, যাদের বিরুদ্ধে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ রয়েছে।
এক দলীয় প্রতিনিধি বলেন, “আমাদের আন্দোলনকারী ছাত্রনেতা যারা এখন উপদেষ্টা হয়েছেন, তারা নিজেদের রাজনৈতিক দল করেছেন। তাদের সরকারি সুবিধা পাওয়ার কথা প্রচার হচ্ছে, যা সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।”
এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, “সরকার আগামী বছরের জুনের পর একদিনের জন্যও ক্ষমতায় থাকবে না। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে।”
এদিকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পর অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। দেশ-বিদেশে এক ধরনের চাপ সৃষ্টি হচ্ছে যাতে সরকার কাঠামো ও পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে না পারে। প্রধান উপদেষ্টা এই পরিস্থিতিকে একটি যুদ্ধাবস্থা হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, “আমাদের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ তৈরি করা। সব ষড়যন্ত্রের মধ্যেও আমরা দায়িত্বে অবিচল থাকব।”
বৈঠক শেষে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আলোচনার মাধ্যমে একটি সমঝোতা তৈরি হলে আগামী নির্বাচনের পথ পরিষ্কার হবে। তবে প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।