পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে পানি ব্যবস্থাপনা, কৃষি ও প্রযুক্তি খাতে আরও গভীর সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার নবনিযুক্ত ডাচ রাষ্ট্রদূত জোরিস ভান বোমেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন নেদারল্যান্ডসের এসব খাতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত দক্ষতার প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু সহনশীলতা অর্জনে এ সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সাক্ষাৎকালে দুই দেশের মধ্যে নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে আলোচনা হয়। তৌহিদ হোসেন অনিয়মিত অভিবাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও মূল্যভিত্তিক সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত হবে। ডাচ রাষ্ট্রদূতের মেয়াদকালে এই সম্পর্ক আরও গভীর ও বহুমুখী হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত জোরিস ভান বোমেল বলেন, বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, গণতান্ত্রিক সংস্কার অগ্রগতি এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে তার দেশ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থাকবে। তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের সময় অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় এই প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
বোমেল আরও জানান, তৈরি পোশাক, অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং নীল অর্থনীতি খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। তিনি বেসরকারি খাতের বিকাশ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হিসেবে উল্লেখ করেন।
ডাচ রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রতি তার দেশের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলেও জানান।
অন্যদিকে, উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকে উদ্ভাবন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতার চালিকাশক্তি হিসেবে তুলে ধরেন।
তিনি নেদারল্যান্ডসের সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক কর্মসূচি, বিশেষ করে ক্লিংগেনডেল ইনস্টিটিউটে কূটনীতিকদের প্রশিক্ষণ ও সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বিশেষায়িত কোর্সের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
দুই পক্ষ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতবিনিময় করেন এবং ভবিষ্যতে যৌথ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।