যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার শুল্ক আলোচনা শেষ করে দেশে ফিরে এসে সোমবার বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন জানিয়েছেন, আলোচনার অগ্রগতি আশাজনক এবং ইতিবাচক বার্তা বহন করে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “গতকাল (রবিবার) আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে এসেছি। আজ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে বৈঠকে আলোচনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে।”
তিনি জানান, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনাধীন রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং এই মাসেই তৃতীয় দফার আলোচনার প্রস্তুতি চলছে। তিনি বলেন, “আমরা আবার যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা আশাবাদী যে ইতিবাচক ফলাফল আসবে।”
ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ বৈঠক প্রসঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “আলোচনাটি ছিল প্রাণবন্ত ও উৎসাহব্যঞ্জক। আমি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছি।”
তিনি আরও জানান, “ওই আলোচনায় আমরা তাদের পক্ষের ৩৫ থেকে ৪০ জন আলোচনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করেছি। বেশ কিছু কার্যকর পরামর্শ উঠে এসেছে, যা ভবিষ্যৎ চুক্তিতে সহায়ক হবে। আমরা আশাবাদী যে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রপ্তানির জন্য যৌক্তিক শুল্কহার নির্ধারণে সম্মত হবে।”
শেখ বশির উদ্দিন বলেন, “২০১৫ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের পণ্য যাচ্ছে এবং আমরা শুল্ক পরিশোধ করছি। আমাদের উদ্যোক্তারা নিজেদের সক্ষমতা দিয়ে মার্কেট ধরে রেখেছেন। বৈষম্যমূলক আচরণ না থাকলে আমাদের শিল্প আরও এগিয়ে যাবে।”
তাঁকে প্রশ্ন করা হলে ‘যৌক্তিক শুল্কহার’ বলতে বাংলাদেশ কী বোঝায়, তিনি এককথায় উত্তর দেন, “শূন্য।”
বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্র একটি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য এবং দীর্ঘদিন ধরেই শুল্ক ছাড় সুবিধার জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। আলোচনার এই ধারা আগামী মাসে তৃতীয় দফায় গড়ালে, তা ভবিষ্যতে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।