বাংলাদেশ সরকার হালাল অর্থনীতির জন্য অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যাতে দেশটি এই অঞ্চলের হালাল পণ্যের একটি কেন্দ্রে পরিণত হয়। বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) ও বাংলাদেশ ইকোনমিক জোনস অথরিটির (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান ও রাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রী চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন সম্প্রতি ঢাকায় “Halal Economy 360: Driving Global Growth” শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) আয়োজিত এই সেমিনারে শিল্প নেতারা, নীতিনির্ধারক ও বিশেষজ্ঞরা হালাল অর্থনীতির সম্ভাবনা ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতার দিকগুলো আলোচনা করেন।
চৌধুরী আশিক মাহমুদ বলেন, “বর্তমানে অধিকাংশ হালাল পণ্য উৎপাদিত হয় অ- মুসলিম দেশগুলোতে, যা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে একটি বড় সুযোগ সৃষ্টি করে। সঠিক নীতি ও উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ এই বাজারে প্রবেশ করতে পারবে।” তিনি বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং হালাল উৎপাদনের অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা জানান।
বিএমসিসিআই সভাপতি শব্বির এ খান হালাল অর্থনীতিকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকা শক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ শুধুমাত্র বস্ত্র রপ্তানি নয়, হালাল পণ্যের ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ায় ২০৩০ সালের মধ্যে ৭-৮ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি অর্জন করতে পারে।”
বিশ্বব্যাপী হালাল খাদ্য বাজার ২০২৫ সালে প্রায় ৩.৩০ ট্রিলিয়ন ডলার এবং ২০৩৪ সালে এটি ৯.৪৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর প্রত্যাশা রয়েছে।
মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুহাদা ওসমান বলেন, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী এবং মালয়েশিয়া হালাল অর্থনীতির উন্নয়নে তার দক্ষতা শেয়ার করতে আগ্রহী।
সেমিনারে ব্যবসায়িক ও একাডেমিক বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন এবং খোলামেলা আলোচনা হয়। অংশগ্রহণকারীরা সরকারি সহযোগিতার মাধ্যমে এই খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
বর্তমানে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে বাণিজ্যে ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া থেকে প্রায় ২.৬ বিলিয়ন ডলারের আমদানি করেছে, যেখানে রপ্তানি মাত্র ২৯৩.৫১ মিলিয়ন ডলার।