Thursday, July 3, 2025
Homeঅর্থ-বাণিজ্য২০২৪-২৫ অর্থবছরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৮.৫৮ শতাংশ, জুন মাসে কমেছে ৭.৫৫ শতাংশ

২০২৪-২৫ অর্থবছরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৮.৫৮ শতাংশ, জুন মাসে কমেছে ৭.৫৫ শতাংশ

ঈদ ও কাস্টমস ধর্মঘটের প্রভাব জুন মাসে রপ্তানি খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে

বাংলাদেশ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ে ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এ সময়ে দেশের মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৪৮ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার।

বুধবার (২ জুলাই) প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ তথ্যে এই চিত্র উঠে এসেছে।

এর আগের অর্থবছরে, অর্থাৎ ২০২৩-২৪ সালে রপ্তানি আয় ছিল ৪৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার।

তবে পুরো অর্থবছরে রপ্তানি আয় বাড়লেও চলতি বছরের জুন মাসে রপ্তানি আয় কমেছে ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। জুন ২০২৫ সালে রপ্তানি আয় ছিল ৩ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যেখানে ২০২৪ সালের একই মাসে এই অঙ্ক ছিল ৩ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার।

শিল্প সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, দীর্ঘ ঈদুল আজহার ছুটি এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংস্কারবিরোধী আন্দোলনে কাস্টমস কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি জুন মাসের রপ্তানি কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

তৈরি পোশাক খাতে ৮.৮৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, মোট রপ্তানির ৪৮ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাত থেকে এসেছে ৩৯ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার। এই খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

তৈরি পোশাকের মধ্যে নিটওয়্যার থেকে এসেছে ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার, যা ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। ওভেন পোশাক থেকে এসেছে ১৮ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার, প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৮২ শতাংশ।

হোম টেক্সটাইল খাতে রপ্তানি ২ দশমিক ৪২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৭১ দশমিক ৫৭ মিলিয়ন ডলার।

তবে জুন মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ৬ দশমিক ৩১ শতাংশ পতন ঘটেছে।

বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহিউদ্দিন রুবেল বলেন, জুন ২০২৫ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি জুন ২০২৪ সালের তুলনায় ৬ দশমিক ৩১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। নিটওয়্যার রপ্তানি কমেছে ৪ দশমিক ০৪ শতাংশ এবং ওভেন রপ্তানি কমেছে ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

বিশ্লেষকদের মতে, ঈদের দীর্ঘ ছুটি ও কাস্টমস কার্যক্রম বন্ধ থাকায় মাসিক রপ্তানির এই হ্রাস দেখা গেছে। তবে পুরো অর্থবছরের প্রবৃদ্ধিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা।

রপ্তানি আয়ের ওপর এই ধরনের ঋতুভিত্তিক ওঠানামা ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় বিবেচনায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

RELATED NEWS

Latest News