Monday, July 21, 2025
Homeঅর্থ-বাণিজ্যযুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক হুমকিতে রপ্তানি খাত বিপর্যস্ত: একে আজাদ

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক হুমকিতে রপ্তানি খাত বিপর্যস্ত: একে আজাদ

“গত ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংকটে রয়েছে বাংলাদেশের রপ্তানি শিল্প”—রাউন্ডটেবিল আলোচনায় শীর্ষ ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ

বাংলাদেশের রপ্তানি খাত গত ৪০ বছরে সবচেয়ে বড় সংকটের মুখোমুখি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এবং হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একে আজাদ।

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত “যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক: বাংলাদেশের পথ কোন দিকে” শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

আজাদ বলেন, “যেসব ব্র্যান্ডে আমরা রপ্তানি করি, তারা যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে চলমান শুল্ক আলোচনা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। কেউ কেউ আবার ওয়াশিংটনে লবিং করছে। তারা যা বলছে, তা আমাদের জন্য ভীতিকর—তারা কোনো ইতিবাচক ফলাফল দেখছে না।”

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া সংকেত অত্যন্ত হতাশাজনক। সরকারের আলোচনা কৌশল এবং আলোচক দলের সক্ষমতা ও স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

“যখন আমরা সরকারকে লবিস্ট নিয়োগের অনুরোধ জানাই, তখন বলা হয় ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে। আমরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়েও বার্তা পাঠিয়েছিলাম,” বলেন আজাদ।

একটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের ইমেইল উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, “আমাকে জানতে চাওয়া হয়েছে, ১ তারিখ থেকে যদি নতুন শুল্ক কার্যকর হয়, তাহলে কতটা ভাগ আমি সরবরাহকারী হিসেবে নিতে পারব।”

আর্থিক হিসাব তুলে ধরে তিনি জানান, “ওই ক্রেতা আমার কাছ থেকে বছরে ৮ কোটি ডলারের পণ্য কিনে। আমার নেট মুনাফা ১৩ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এখন যদি আমাকে ৩৫ শতাংশ বোঝা বহন করতে হয়, তাহলে আমার কী থাকবে?”

তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা হয়তো সাত-আট মাস পর চলে যাবেন। কিন্তু আমরা কোথায় যাব? কার কাছে যাব?”

বিষয়টি নিয়ে আরও বলেন, “এমন একটা ধারণা আছে, উপরের কেউ বাঁশি বাজালেই সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু বৈশ্বিক বাণিজ্য এমনভাবে চলে না।”

গোলটেবিল আলোচনায় অংশগ্রহণকারী অর্থনীতিবিদ এবং অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও বাংলাদেশের বাণিজ্য স্বার্থ রক্ষায় সমন্বিত ও দক্ষ কৌশলের অভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বৈশ্বিক পরিবেশে টিকে থাকতে হলে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

বিশ্লেষকদের মতে, এমন সংকটে সরকারের উচিত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পরামর্শ করে স্বচ্ছ এবং বাস্তবভিত্তিক কৌশল গ্রহণ করা, যাতে বাংলাদেশের রপ্তানি খাত আন্তর্জাতিক বাজারে তার অবস্থান বজায় রাখতে পারে।

RELATED NEWS

Latest News