দীর্ঘ প্রায় নয় বছর পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, এটি একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ। তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি।
গত বছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কিছুটা উত্তেজনা বিরাজ করছে। এছাড়া সীমান্ত দিয়ে ‘পুশ-ইন’ বা জোর করে লোক পাঠানোর মতো ঘটনায় ঢাকার উদ্বেগের মধ্যেই এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হলো।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের আগে হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাস পরিদর্শন করেন এবং সেখানকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ মে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন রিয়াজ হামিদুল্লাহ।
সে সময় নবনিযুক্ত হাইকমিশনারকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতি বলেন, তারা একটি ‘গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক’ বাংলাদেশ দেখতে চান। তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে দুই দেশের যৌথ আত্মত্যাগের ওপরই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দীর্ঘ বিরতির পর অনুষ্ঠিত এই বৈঠকটি দুই পক্ষের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হতে পারে।