মিরপুর টেস্টে চালকের আসনে থেকে তৃতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডকে ২৬৫ রানে অলআউট করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দিন শেষে ৩৬৭ রানের বিশাল লিড নিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এখন পুরোপুরি বাংলাদেশের হাতে।
শুক্রবার শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ফলোঅন না করিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় এবং শাদমান ইসলাম শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলে দলকে দারুণ সূচনা এনে দেন। প্রথম ১০ ওভারের মধ্যেই দলীয় পঞ্চাশ রান তুলে নেন তারা। এই জুটি সিরিজে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শতরানের জুটি গড়ে, যা বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে এক বিরল কীর্তি। এর আগে ২০১৪-১৫ সালে জিম্বাবুয়ে ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা দুই টেস্টে সেঞ্চুরি জুটি গড়েছিলেন তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস।
৯১ বলে ৬০ রানের একটি সাবলীল ইনিংস খেলে লেগ স্পিনার গ্যাভিন হোয়ের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন জয়। তবে শাদমান ইসলাম দিনভর অবিচল থেকে তুলে নেন তার অষ্টম টেস্ট ফিফটি। দিন শেষে তিনি ৬৯ রানে অপরাজিত থাকেন। তাকে সঙ্গ দিয়ে মুমিনুল হক অপরাজিত আছেন ১৯ রানে। ৩৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৫৬ রান।
এর আগে দিনের শুরুতে ৪ উইকেটে ৯৮ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে আয়ারল্যান্ড। তবে তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে আইরিশদের মিডল অর্ডার ভেঙে পড়ে। ৭৬ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন তাইজুল। এই পারফরম্যান্সের মাধ্যমে তিনি টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সাকিব আল হাসানের সর্বোচ্চ ২৪৬ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন। তবে সাকিবের চেয়ে ২০ ইনিংস কম খেলেই এই রেকর্ডের অংশীদার হন তিনি। এছাড়া এবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদ এবং হাসান মুরাদও বল হাতে অবদান রাখেন।
আইরিশদের হয়ে লোরকান টাকার একাই লড়ে যান। কঠিন সময়ে এক প্রান্ত আগলে রেখে তিনি অপরাজিত ৭৫ রানের একটি লড়াকু ইনিংস খেলেন। এছাড়া জর্ডান নিল ৪৯ ও স্টিফেন ডোহেনি ৪৬ রান করে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তবে তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ফলোঅন এড়ানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না।
দিনের খেলায় এক অভিনব ঘটনাও ঘটে। ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের কারণে প্রায় তিন মিনিটের জন্য খেলা বন্ধ রাখতে হয়, এসময় খেলোয়াড় ও মিডিয়াকর্মীরা নিরাপদ অবস্থানে সরে যান।
