দুই সিরিজে টানা হারের ভার নিয়ে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে পরাজয়ের পর পাকিস্তানের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ হওয়া টাইগারদের জন্য ছিল আরেকটি বড় ধাক্কা। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—তিন বিভাগেই হতাশ করেছেন ক্রিকেটাররা।
তবে সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে ব্যাটিং লাইনআপের দারুণ ভঙ্গুর পারফরমেন্স। মিডল অর্ডারে একের পর এক ব্যর্থতা, অভিজ্ঞ ব্যাটারদের রান না পাওয়া এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলা বাংলাদেশ দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। লিটন দাস, তাওহিদ হৃদয়, শামম হোসেন, জাকের আলী ও মিরাজের মতো টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ ব্যাটাররা ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হয়েছেন।
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজেও ব্যাটিং নিয়ে একই সমস্যা দেখা গেছে, যদিও বোলারদের কারণে সেই সিরিজে পরাজয় এড়ানো গেছে। বিদেশের মাটিতে এসব সমস্যা প্রকট হয়েছে আরও বেশি।
জাতীয় দলের সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এই ব্যর্থতার পেছনে সরাসরি দায়ী করছেন টিম ম্যানেজমেন্টকে। তার মতে, নাজমুল হোসেন শান্তর মতো টেকনিক্যাল ব্যাটার পাকিস্তানের উইকেটে ভালো করতে পারতেন, কিন্তু তাকে একাদশেই রাখা হয়নি। শামম হোসেন পাটোয়ারি ছয় ম্যাচে একবারও দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।
নান্নু বলেন, “আমাদের ওপেনাররা পাওয়ার প্লেতে ভালো করলেও ছয় থেকে ১৪ ওভারের মধ্যে বারবার ব্যর্থ হয়েছে মিডল অর্ডার। এই জায়গা থেকে টিম ম্যানেজমেন্ট খেলোয়াড়দের মোটিভেট করতে পারেনি। এটা বড় ব্যর্থতা।”
বাংলাদেশ দল আগামী ১৭ জুন থেকে শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছে। এই সফরে থাকছে দুই টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। টানা দুটি সিরিজ হারের পর টাইগারদের সামনে এটিই বড় সুযোগ নিজেদের প্রমাণ করার।
নান্নু মনে করেন, ঈদের ছুটির পর স্কিল সেশন ও মানসিক প্রস্তুতির মাধ্যমে দল যদি শ্রীলঙ্কা সফরে যায়, তবে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। “আমার বিশ্বাস, খেলোয়াড়দের মানসিকভাবে রিফ্রেশ করে নিয়ে গেলে ওদের কাছ থেকে ভালো পারফরমেন্স আসবে। এটা একটা সাইকোলজিকাল ফ্যাক্টর,” বলেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই সিরিজ তাই শুধু একটা সফর নয়, বরং এটি টাইগারদের আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার একটি পরীক্ষাও। লিটন, শান্ত, তামিম, সাকিব ও রিশাদের মতো অভিজ্ঞরা জানেন, এখন আর কোনো ব্যর্থতার জায়গা নেই।
